Type Here to Get Search Results !

Matua Sangeet

Matua Sangeet

মতুয়া উপাসনা বিধি

 ওঁ

শান্তি হরি

মতুয়া উপাসনা বিধি

এই বইটি মতুয়া ভক্ত সমাজে মানসিক চাহিদা পূরণ করলে

সকলের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকিব।

https://www.matuasangeet.fun/

মতুয়ারত্ন শ্রী কৃত্তিবাস ঠাকুর
Mobile:- 9830569036


★★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদের মূল বন্দনা★★★★★

জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।

জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরিদাস ।।

জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।

পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।

জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।

জয় শ্রী গোলকচন্দ্র জয় শ্রীলোচন।।

জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।

জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।

জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।

নিজদাস করি মোরে করো আত্মসাৎ।।

*******


★★★★আসন শুদ্ধি মন্ত্র★★★★

হে ধরিত্রী মাতা, তুমি সকলের পরম আশ্রয়,

 অদ্য শ্রীহরি পূজা করার নিমিত্তে কাতরে তোমাকে আহ্বান করিতেছি।

 কৃপা পরবশে তুমি অত্র আসন ধারণ কর।

 আমি তোমায় প্রনাম জানাই।

(ধরা দেবীকে প্রণাম করে পুষ্পার্ঘ আসনের পাশে রাখবে)

*******


★★★★দেহ মন শুদ্ধিমন্ত্র★★★★

প্রথম পাঠ (করজোড়ে)

হে পরম করুণাময় জগদ্বীশ্বর পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণ সনাতন শ্রীহরি,

তুমি আমার হৃদয় মন্দিরে আগমন করিয়া আমার বিচলিত মনকে স্থির কর,

রিপু আদির কবল থেকে মুক্ত করে আমার দেহ ও মনকে শুচিতায় ও পবিত্রতায় পূর্ণ করে দাও।

ওগো চির বাঞ্ছিত শ্রীহরি, তুমি সর্ব মূলাধার, তুমিই একমাত্র সত্য ও সর্বশুচি।

আমি পূর্বাপর পবিত্র ও অপবিত্র যাহাই থাকি না কেন তুমি তোমার করুণা পরবশে

তোমার সর্ব পাপহরা কৃপাবারী মম পরে সিঞ্চন করিয়া আমার ভিতর বাহির সুপবিত্র কর।

তোমার পতিত পাবণী নাম গ্রহণে আমি যেন পবিত্র দেহ মনে অত্র

শ্রীহরি পূজা সঠিকভাবে সুসম্পন্ন করিতে পারি এই প্রার্থনা জানাই।

হরিবল, হরিবল, হরিবল।  (৩ বার মুখস্খলন করিবে)


★★★★★সংকল্প গ্রহণ★★★★★

ওঁ শ্রীহরি তৎ সৎ

অদ্য ......................... মাসে ....................... পক্ষে ....................... তিথীতে.................... বারে:

 .................. নক্ষত্রে আমি শ্রী...................................মম পিতা শ্রী...................................

পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পূজা নিমিত্তে সংকল্প গ্রহণ করিলাম।

হে দয়াল শ্রীহরি, আমি তোমাকে স্বভক্তিপূর্ণ প্রণাম করি।


★★★পুষ্প বিল্লপত্রাদির শুদ্ধিমন্ত্র★★★

পুষ্প চন্দনাদিকে আমি পূজা নিমিত্তে স্বচন্দন পুষ্পবারিতে নমস্কার করি।

দূর্বা তুলসী বিপ্লপত্রাদিকে আমি পূজা নিমিত্তে স্বচন্দন পুষ্পবারিতে নমস্কার করি।

ধূপ দীপকে আমি পূজা নিমিত্তে স্বচন্দন পুষ্পবারিতে নমস্কার করি।

নৈবেদ্যাদিকে আমি পূজা নিমিত্তে স্বচন্দন পুষ্পবারিতে নমস্কার করি।

*******


★★★জল শুদ্ধি★★★

অপবিত্র দেহ লয়ে যত্রতত্র ফিরি।

বিল্লপত্র ধরি তাই জলস্পর্শ করি।।

হরিগুরুচাঁদ স্মরণ করি ছিটাইনু জল।

ভিতর বাহির শুচি সর্বত্র মঙ্গল।।

(নিজ মস্তকে জল ছিটাইবে)

*******

★★★★গঙ্গার স্তুব★★★★

হে মকর বাহিনী গঙ্গে হে যমুনে।

 প্রণাম জানাই তোমাদের শ্রী চরণে।।

 হে নর্মদা হে সিন্ধু জল কাবেরী।

 তোমাদের শ্রী চরণে প্রণাম করি।

 হে গোদাবরী মাতা দেবী সরস্বতী।

 শ্রী চরণে আমি জানাই প্রণতি

 এই জল মধ্যে সবে হয়ে অধিষ্ঠান।

 শুদ্ধ করি লও হরি পূজার স্থান।।

 কায়মনে তোমাদের করিগো মিনতী।

শৌচা শুচি জ্ঞান-বিদ্যা তোমাদের সংহতি।।

 অজ্ঞান অন্ধ আমি কলুষে ঘৃণিত।

 তোমরা কর হে মোরে শুচি শুদ্ধ ধৌত।।

পাপ পঙ্কিল পথ হতে কর পরিত্রাণ।

 দেহের ষড়রিপু করহে তারন।।

 নাহি জানি ভক্তি স্তুতি মূঢ়মতী আমি।

 কেমনে পূজীব বল সে জগত স্বামী।।

 এনেছি তুলসী জল বিলপত্র আদি।

 নাহি জানি তন্ত্র মন্ত্র নাহি বেদ বিধি।।

 কায়মনে হরিপদ পুঁজিবারে চাই।

 তোমাদের কাছে সূচি ভিক্ষা মাগি তাই।।

 হরি ওম তৎ সৎ বলি ঘটে দিলাম জল।

 পবিত্র করিয়া লও হরি পূজার স্থল।।

(হরি ওম তৎ সৎ বলে ঘটে জল দেবে)

*******


★★★★গঙ্গার স্তুতি★★★★

জয় জয় গঙ্গা মাতা অগতির গতি।

 তুমি বিনে কলি জীবের নাহি অন্য গতি।।

মকর বাহিনী রূপে দেখা দাও এসে।

 তোমা লাগি ভক্তগণ নয়ন জলে ভাসে।।

 ভগিরথ সাধন বলে আনিলো তোমায়।

ভাগীরথী নাম তোমার হল পরিচয়।।

জাহ্নু মনির জানু চিরে ধরায় আসিলে। 

জাহ্নবী বলিয়া তোমায় জানে সকলে।।

মধুমতির মরা গোগে গোলককে দিলে দরশন।

 মা আমি যেন সেই রূপে পাই দরশন।।

মধুমতির কালনা ঘাটে অশ্বিনীকে দিলে দরশন।

 মা আমি যেন সেই রূপে পাই দরশন।।

ভগিরথ সাধন বলে আনিল তোমায়।

 তার বংশ উদ্ধার হল তোমার কৃপায়।।

 পাপী তাপী উদ্ধারীতে সাগরে বসতি।

 গঙ্গাসাগর নামে তোমার প্রকাশিত বিভূতি।।

 মোরা কভু নাহি জানি তোমার স্তুতি।

 নিজ গুনে কৃপা কর জানাই মিনতি।।

*******


★★★★সর্ব তীর্থবারি আনয়ন মন্ত্ৰ★★★★

(অনামিকা অঙ্গুলি দ্বারা ঘট স্পর্শ করে)

হে পুণ্ডরীকাক্ষ, সর্বভূতাত্মা, সর্ব তীষ্ঠ, সর্ব বেদময় শ্রীহরি,

তুমি তোমার সংকর্ষণী শক্তি দ্বারা সপ্ত তীর্থ, সপ্ত সমুদ্র,

পঞ্চ সরোবর পঞ্চ পুণ্যা নদী ও সর্বতীর্থ সার

 শ্রীধাম ওড়াকান্দির কামনা সাগরের পবিত্র বারি সমূহ

অত্র ঘটে আনয়ন করিয়া কৃপা পরবশে তুমি

 অত্র ঘটে অধিষ্ঠিত হও, তোমায় ভক্তিপূর্ণ প্রণাম জানাই।

*******


★★★পিতৃদেবের প্রতি প্রণাম মন্ত্র★★★

পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম সৃষ্টিকর্তা পিতা।

পিতার তৃপ্তিতে তৃপ্ত সকলদেবতা।।

পিতার কারণে সবে আসে ধরাধাম।

জানাই পিতার পদে স্বভক্তি প্রণাম।।

আজন্ম শুভানুধ্যায়ী হে পরম কল্যাণকামী পিতৃদেব তোমার বাঞ্ছিত

আশীর্বাদ বর্ষণ করে আমার স্বশ্রদ্ধেয় প্রণাম গ্রহণ কর।

*******


★★★★★মাতৃদেবীর প্রতি প্রণাম মন্ত্ৰ★★★★★

জননী জঠর যেন পার্থিব মৃত্তিকা।

ধরিত্রী ধারিকাসম জগৎ পালিকা ।।

বেদনা হারিনী মাতা দূর্গতী নাশিনী।

নয়ন মুদিয়া ভাবি চরণ দু'খানি।।

যাহার অসীম সাধনায় ও অপার স্নেহ ত্যাগ তিতিক্ষায় এই ধরাধামে আগমন, জীবন ধারণ, বেদনা হারিনী, দুর্গতী নাশিনী মাতৃদেবী হে করুণাময়ী জীবন ধাত্রী, সাক্ষাৎ দেবী, তোমার বাঞ্ছিত শুভ আশীর্বাদ বর্ষণ কর।

*******


★★★★★পিতা-মাতার স্তুতি★★★★★

পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম সর্বশাস্ত্রে কয়।

ভাবিয়া পিতার পদ রাখিনু মাথায়।।

যাহার কৃপাতে আমি এ জগতে আসি।

তাহার স্মরণে পাপ খণ্ডে রাশি রাশি।।

না বুঝিয়া কত পাপ করেছি চরণে।

এ পাপের নাহি ক্ষমা সে চরণ বিনে।।

কত কষ্টে পিতা মোরে করেছে পালন।

পিতৃঋণ শোধ দিতে পারে কোন জন।।

পিতা যে পরম বস্তু সাধনের ধন।

পূজলি না সে চরণ ওরে মূঢ় মন।।

মায়াজালে বন্দি হয়ে সকল ভুলিলি।

ঘরেতে রাখিয়া ধন বাহিরে খুজিলি।।

যখন ছিলি যে মন পিতৃ মণিপুরে।

তথা হতে আইলি রে জননী জঠরে।।

 দশ মাস দশ দিন ছিলি মাতৃগর্ভে।

মাতা মোর কত কষ্ট করে কত ভাবে।।

অসহ্য যাতনা মাতা সয়ে হাস্য মুখে।

আশাতে বাঁধিয়া বুক সদা থাকে সুখে।।

দশ মাস দশ দিন যখনে হইল।

প্রসব করিতে মাতা কত কষ্ট পেল।।

তারপর কত ভাবে করেছে পালন।

স্তন দুগ্ধ দিয়ে মোর বাঁচাইছে প্রাণ।।

তবু মাতা দিনরাত প্রফুল্ল অন্তরে।

স্নেহভরে কোলে করে কত যত্ন করে।।

নিজে না খাইয়া মাতা খাওয়েছে মোরে।

মল-মূত্র ধোয়ায়েছে ঘৃণা নাহি করে।।

এত কষ্ট করে মাতা তবু হাসি মুখ।

পুত্রের বদন হেরি পাশরিল দুখ।।

মা শব্দের তুল্য দিতে আর কিছু নাই।

 ঐ চরণে গয়াগঙ্গা সব কিছু পাই।।

এ হেন মায়ের পদ ভাবিয়া অন্তরে।

করিলাম এ স্তুতি মা-বাবার বরে।।

মাতা-পিতার চরণে করিলাম স্তুতি।

এ পাপ দেহে যেন জাগায়ে ভক্তি।।

তাই বলি ওরে মন হরি হরি বলো।

কাঁদিয়া বিনোদ বলে বেলা ডুবে গেল।।

*******


★★★★★শ্রীগুরুদেবের প্রতি প্রণাম মন্ত্র★★★★★

শূন্যকার মূর্তিযার ব্যাপ্ত যিনি চরাচর।

তাঁর মর্ম যে জানাল প্রণমী চরণে তার।।

জ্ঞানের আলোক দিয়ে দূর করে অন্ধকার।

দিব্যদৃষ্টি দেন যিনি প্রণমী চরণে তার।।

আমার কারণে যিনি ধরিলেন নরদেহ।

মানব স্বভাব ধরি করিছেন কত স্নেহ।।

জানা কি অজানা মোর বিপদ আপদ রাশি।

নাশেন অলক্ষ্যে থাকি করুণায় ভালবাসি।।

চিত্তের গুহায় মম জীবাত্মা ঘুমায়ে রয়।

তাহারে জাগাতে তত্ত্ব শিখালেন দয়াময় ।।

পরম বান্ধব সেই পরমাত্মা সম।

নমঃ শ্রীগুরু দেবায় (গুরুদেবের নাম) নমঃ হে পুরুষোত্তম।।

তাহার অর্দ্ধাঙ্গিনী যিনি গুরুমাতা (গুরুমাতার নাম) কৃপাময়ী।

করুণা মাগিয়া তাহার চরণে প্রণত হই।।

*******


★★★★★শ্রীহরিভক্ত পূজামন্ত্র★★★★★

হে আমার প্রাণপ্রিয় হরিভক্তগণ।

করজোড়ে বন্দি আমি সবার চরণ।।

নামি হতে নাম বড় সর্বশাস্ত্রে কয়।

তার চেয়ে ভক্ত বড় হরি গুরু কয়।।

লীলামৃতে আছে তাহার জ্বলন্ত প্রমাণ।

গোলককে সেবিলে তুষ্ট হন ভগবান।।

হরি আর হরিভক্ত একদেহ মন।

তার স্বাক্ষী দশরথ আর হীরামন।।

তাদের প্রহার চিহ্ন শ্রীহরি ধরিল।

ভক্ত আর ভগবান অভিন্ন হইল ।।

ভক্ত কৃপা না হইলে হরি নাহি মিলে।

হরিভক্তি লাভ হয় ভক্ত কৃপা হলে।।

ভক্তিহীন শক্তিহীন আমি অভাজন।

নিজগুণে কৃপা কর ওহে ভক্তগণ ।

ভক্ত কৃপা ভিন্ন ভবে গতি নাহি আর।

হরিভক্ত পদরজঃ কামনা আমার।।

দিবানিশি যেন আমি ভক্তপদ স্মরি।

ভক্তপদ শিরে ধরি আমি যেন মরি।।

ভক্তপদ রজঃ আর পদধৌত জল।

নিদান কালেতে যেন হয়গো সম্বল।।

আশীর্বাদ কর সবে প্রার্থনা জানাই।

শ্রীহরির শ্রীচরণে পাই যেন ঠাঁই।। 

*******


★★★★★শ্রীহরি স্মরণ★★★★★

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের, মূল তুমি, ক্ষীরোদ বিহারী হরি।

ত্রিলোক বাঞ্ছিত, ভক্ত মনোনীত, বাঞ্ছাপূর্ণকারী।।

পতিত উদ্ধারে, লক্ষ্মী সমিভ্যরে, ধরাধামে এলে।

আপনি আচরি, গার্হস্থ্য ধর্ম, জীবকে শিক্ষা দিলে।।

মানব মুক্তির, মহান সেতু, মতুয়া মতবাদ।

প্রচার করিয়া, জীবকে দিলে, মহামুক্তির স্বাদ।।

কৃতাঞ্জলি করপুটে, ডাকি তোমা, ওহে ভগবান।

কৃপা করি এই, আসনে আজ, হওগো অধিষ্ঠান ।

*******


★★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদের মূল বন্দনা★★★★★

জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।

জয় শ্রীবৈষ্ণব দাস জয় গৌরিদাস ।।

জয় শ্রীস্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।

পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।

জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।

জয় শ্রীগোলকচন্দ্র জয় শ্রীলোচন।।

জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।

জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।

জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।

নিজদাস করি মোরে করো আত্মসাৎ।।

*******


★★★★★মঙ্গলাচরন★★★★★

হরিচাঁদ চরিত্র  সুধা প্রেমের ভান্ডার।

আদি অন্ত নাহি যার কলিতে প্রচার।।

সত্য,ত্রেতা,দ্বাপরের শেষ হয় কলি।

ধন্য কলি যুগ কহে বৈষ্ণব সকলি।।

তিন যুগ পরে কলি যুগ এ কনিষ্ঠ।

কনিষ্ঠ হইয়া হৈল সর্ব্বযুগ শ্রেষ্ঠ।।

এই কলিকালে শ্রীগৌরাঙ্গ অবতার।

বর্তমান ক্ষেত্রে দারু ব্রহ্মরুপ আর।।

যে যাহারে ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর।

ভক্তিযুগে সেই তার সয়ং অবতার।।

হয় গ্রীব অবতার কপিল অবতার।

অস্টাবিংশ অবতার পুরানে প্রচার।।

মৎস,কুর্ম্ভ, বামন, বরাহ নরহরি।

ভৃগুরাম রঘুরাম  রাম অবতরি।।

ঈশ্বরের অংশকলা সব অবতার।

প্রথম   পুরুষ  অবতার  রঘুবর।।

নন্দের নন্দন হ'ল গোলকের নাথ।

সংকর্ষন রাম অবতার তাঁর সাথ।।

সব ঈশ্বরের অংশ পুরানে নিরখি।

বর্তমান দারুব্রহ্ম অবতার কল্কি।।

সব অবতার হ'তে রাম দয়াময়।

দারুব্রহ্ম দয়াময় কৃষ্ণ দয়াময়।।

পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণানন্দ নন্দের নন্দন।

সেই নন্দ সুত হ'ল শচীর নন্দন।।

যে কালে জন্মিল কৃষ্ণ পূর্ণব্রহ্ম নয়।

পুর্ণ হ'ল যে কালে পড়িল যমুনায়।।

শচীগর্ভে জন্ম ল'য়ে না ছিলেন পূর্ন।

দীক্ষা প্রাপ্তে পূর্ন নাম শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।।

তখন হইয়া পূর্ন সন্যাস করিলে।

আটচল্লিশ বর্ষ পরে মিশিলা উৎকলে।।

সকল হরন করে তারে বলি হরি।

রাম হরি কৃষ্ণ হরি শ্রীগৌরাঙ্গ হরি।।

প্রেমদাতা নিত্যানন্দ তার  সমিভ্যরে।

হরি কে হরায় সেই হরি ভক্তদ্বারে।।

নিত্যানন্দ হরি কৃষ্ণ হরি গৌর হরি।

হরিচাঁদ আসল হরি পূর্নানন্দ হরি।।

এই হরিচাঁদ লীলা সুধার সাগর।

তারকেরে কর হরি তাহাতে মকর।।

★★★★★★★★★★★★★★★


★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের রূপ বর্ণনা★★★★

উর্দ্ধভাবে সুশোভিত রেখা হাতে পায়।

ধ্বজ বজ্রাংকুশ আর অহিফণা তায়।।

শঙ্খচক্র, মীন, জম্ভু নামে যেই ফল।

কল্পতরু শ্রীপতাকা জাহ্নবী বিকল।।

গজস্কন্ধ কোকনদ কর পদ তল।

নখচন্দ্র, নখমুদ্রা অতি সুনির্মল।।

নখ চিক্কন, ত্বক চিক্কন, নাভি সুগভীর।

আজানু লম্বিত বাহু কোমল শরীর।।

চক্ষু কোণ শিরালাল পলাশ লোচন।

দক্ষিণ অঙ্গে রক্ত তিল রক্তিম বরণ।।

সুচিকন জোড়া ভুরু কাদম্বিনী সম।

ঈশ্বরের বত্রিশ চিহ্ন নর লীলাত্তম ।।

সুধাবস্ত ছত্র আর সুধাকর যব।

ঠাকুরের চিহ্ন এই কহিলাম সব।।

এর ১,২,৩ চিহ্ন দেখিবে যাহারে।

ততখানি অংশ বলি মানিবে তাহারে।।

চিহ্ন হেরি রসরাজ হইল হতজ্ঞান।

স্বেদ অশ্রু পুলক কম্পে প্রেমের তুফান ।।

তারপর শ্রীহরির পাদপদ্মে লোটাইল।

কেহ না বুঝিল দোহে কিবা সংঘটিল।।

হরিচাঁদ পূর্ণব্রহ্ম সত্য সনাতন।

এতক্ষণে ভ্রম মোর হইল সংশোধন।।

এত বলি শ্রীহরির স্তব আরম্ভিল।

শান্তি হরি প্রীতে সবে হরি হরি বল।।


★★★★★শ্রীহরি স্তব★★★★★

জয় জয় হরিচন্দ্র, স্বর্গরাজ্যে তুমি ইন্দ্র, নক্ষত্রের মধ্যে চন্দ্র আর।

পতিতপাবন তুমি, নিখিল ব্রহ্মাণ্ডের স্বামী, তুমি সর্বশক্তি মূলাধার।।

গ্রহ মাঝে তুমি সূর্য, ক্ষত্রিয়ের শৌর্য-বীর্য, ব্রাহ্মণের তুমি যে প্রণব।

অগ্নি মাঝে তেজ তুমি, সর্বভূতে প্রাণ স্বামী, পুষ্প মাঝে তুমি যে সৌরভ।।

বেদ মধ্যে তুমি সাম, পর্বতে সুমেরু নাম, রুদ্রগণ মধ্যে হে শংকর।

বসু মধ্যে অগ্নিরূপে, কুবের যক্ষ সমীপে, জলাশয় মধ্যে হে সাগর।।

তুমি কাৰ্ত্তিক সেনাপতি, পুরহিত বৃহস্পতি, মহাঋষি মাঝে ভৃগুমুনি।

বৃক্ষ মাঝে অশ্বত্থ, গন্ধর্বের চিত্তরথ, দেবঋষি মধ্যে নারদমুনি।।

তুমি কপিল সিদ্ধ মাঝে, আজকে দেখেছি বুঝে, তুমি বেগবানের পবন।

অস্ত্রধারী মাঝে রাম, তুমি সর্ব পরিণাম, তুমি ব্রহ্মা তুমি নারায়ণ।।

তুমি আদি তুমি অন্ত, তুমি রুদ্র তুমি শান্ত, তুমি বৃন্দাবন বংশীধারী।

কৃষ্ণঅঙ্গে রাধাঅঙ্গ, তুমি মোর শ্রীগৌরাঙ্গ, বর্তমানে পূর্ণব্রহ্ম হরি।।

তুমি বিনে নাহি গতি, তুমি মম প্রাণপতি, দেও হে তব চরণ রাতুল।

আজি তব কৃপা পেয়ে, জুড়াল তাপিত হিয়ে, ভেঙে গেল মোর যত ভুল।।

আর কিছু নাহি চাই, যেন তব গীতি গাই, যতদিন রাখ দুনিয়াতে।

ফুরালে দিনের খেলা, খেয়াঘাটে শেষবেলা, পুনঃ দেখা দিও মোর সাথে।।

যেন তব সে তরীতে, এ যেন পারে ত্বরিতে, এটুকু কামনা শুধু আর।

তোমাকে যেন না ভুলি, মুখে সদা হরি বলি, খুলি মন-মন্দির দুয়ার।।

রসরাজ এতো বলি, করি পুনঃ কৃতাঞ্জলি, কহে তবে ঠাকুরের ঠাঁই।

অভাগারে কৃপা করি, শ্রীচরণ দিলে হরি, মূলে তার মৃত্যুঞ্জয় সাঁই।।

গুরু কৃপা না লভিলে, তব কৃপা কোন কালে, এ ভূতলে কেহ নাহি পায় ।

তুমি নাহি হলে তার, মানব জনম ছার, লাভ কিবা বেঁচে এ ধরায়।।

তাই মুঢ় নারী নড়ে, পাবে তোমায় কি প্রকারে, সেই কথা জানিতে চাই আমি। 

কহ আজি কৃপা করি, ছলনা কোরোনা হরি, সবে তব হোক অনুগামী।।

কহিলেন হরিচাঁদ যদি মোর কথা মান আমাকে চাহিস যদি কেহ। 

ভক্তি ভরে দিবি যাহা গ্রহণ করিব তাহা তাতে কিছু নাহি কো সন্দেহ।।

*******




★★★★★শ্রীহরির প্রার্থনা★★★★★

সাধন ভজন হীন অতি হীন মতি।

পূজিব চরণ তব মম সাধ অতি ।।

কিভাবে পূজিতে হয় কিছু নাহি জানি।

তোমাকে তুষিতে চাই ফুল ফল আনি।।

কিসে তুমি তুষ্ট হও না জানি সন্ধান।

নিজ ইচ্ছা মতে করি পূজার বিধান।।

ক্ষমা কর ক্ষমা কর অপরাধ যত।

চালাও অধীনে প্রভু তব মন মত।।

শক্তিহীন ভক্তিহীন কোন গুণ নাই।

গুণহীনে কর কৃপা জগৎ গোসাঁই।।

*******


★★★★★স্তুতি★★★★★

(হাত জোড় করে)

আমি অতি মুঢ় মতি নাহি ভক্তি জ্ঞান।

এ অধমে কৃপা করি চরণে দেও স্থান।।

ভজন না জানি প্রভু সাধন না জানি।

চরণে স্মরণ যেন থাকে অন্তর্যামী।।

মনে বড় আশা হরি পূজিব চরণ।

এ জনমে নাহি মম সাধন ভজন ।।

সাধন ভজন হীনের কি হইবে গতি।

চরণে রাখিও মোরে অগতির গতি।।

চরণ বঞ্চিত প্রভু করো না আমারে।

অপরাধ ঘুচায়ে নেও তোমার চরণ পরে।।

যদি না দিবে চরণ কেন আনিলে ধরায়।

তব চরণ বিনে জনম বিফলেতে যায়।।

নাহি জানি ভক্তি স্তুতি অতি অভাজন।

অন্তিমে দিও তব রাতুল চরণ।।

দেখা দিয়ে প্রাণ রাখ ওহে দয়াময়।

আর কিছু চাই না হরি রেখ রাঙ্গা পায়।।

আমি অতি অপরাধী ভক্তি শক্তি নাই।

তোমার চরণ ভিক্ষা কোন গুণে চাই ।।

তবু জানি অপরাধ করেন সন্তানে।

অধম সন্তান বলি প্রভু রাখিও চরণে।।

ফিরায়ে দিওনা হরি কাঙ্গাল বলিয়া।

জনমে জনমে রেখ চরণে বাঁধিয়া।।

দয়া কর দয়াময় ওগো দীনবন্ধু।

অভাগারে দিও তব চরণার বিন্দু।।

*******


★★★★★শান্তি মাতার বন্দনা★★★★★

এসো মাগো শান্তি দেবী জগৎ জননী।

ত্রিলোক পূজিতা মাতা তুমি নারায়ণী।।

এসো মাগো শান্তি দেবী শ্রীহরি ঘরণী।

সত্য সনাতনী মাগো সৌভাগ্যদায়িনী।।

কোথা গো মা হরি প্রিয়ে শান্তি মহামায়া ।

মর্ত্যবাসী জনে চাহে তব পদছায়া।।

এসো মাগো হরি জায়া ত্রিলোক পালিনী।

তুমি মা মঙ্গলদাত্রী দুঃখ বিনাশিনী।।

সুখদা, ধনদা দেবী বর প্রদায়িনী।

আদ্যাশক্তি মাগো তুমি পতিত পাবনী।।

জয় জয় জয় দেবী নমঃ শান্তি দেবী।

কর মোরে কৃপা মাতা শান্ত শান্তি দেবী।।

নাহি জানি ভক্তি স্তুতি অতি মূঢ়মতি।

সর্বলোকে কয় তোমা অগতির গতি।।

কৃতাঞ্জলি করপুটে তোমায় করি নিবেদন।

তোমার চরণে মতি যাচি অনুক্ষণ।।

(শান্তি মায়ের ঘটে পুষ্পার্ঘ অর্পণ)

*******


★★★★শ্রীশ্রী শান্তিমায়ের প্রতি অঞ্জলী★★★★

প্রনমি চরণে মাগো শ্রী হরি রঞ্জিনী।

শান্তিময়ী শান্তি দেবী ক্ষীরোদ বাসিনী।।

 ত্রিলোক পুজিতা মাতা পতিত পাবনী।

সর্বশক্তি ময়ী মাগো শক্তি প্রদায়িনী।।

 কৃপা কনা দানে ধন্য করিলে তারকে।

হীরামন মৃত্যুঞ্জয় লোচন গোলোকে।।

তোমার প্রসাদে মাগো হরি ভক্তগণ।

প্রেম সুধা পাণে মত্ত্ব থাকে অনুক্ষন।।

সর্বজীবের প্রাণ রুপে তুমি বিরাজিতা।

জ্ঞান বুদ্ধি প্রেমে ভক্তি তোমাতে আশ্রিতা।।

তব করুনায় মাগো জীবে তাহা পায়।

কর্ম দোষে এ অভাগা নাহি পেল হায়।।

বিদ্যা রূপে জীব দেহে তুমি বিনাপানী।

প্রেম রূপে সত্যভামা জগৎ জননী।।

এ জগতে দেখি হায় মাতার স্বভাব।

বরা ভয় হাতে করি রহে শান্ত ভাব।।

কু-পুত্রের প্রতিমাতা নাহি করে রোষ।

 করুণায় করে ক্ষয় পুত্রের দোষ।।

রাতুল চরণে তাই এই নিবেদন।

দয়া করি দয়াময়ী দেও গো চরণ।।

পতি তব হরিচাঁদ ক্ষীরোদের নাথ।

জীব কুলে দয়া করি এলে তার সাথ।।

কতই করুনা মাগো জিবেরে করিলে।

পুত্ররূপে মহেশ্বরে ধরাতে আনিলে।।

তার গুণ গাই মনে এমত বাসনা।

দয়া করে দাও শক্তি কমল আসনা।

তব আগমনের হৃদে আসুক আনন্দ।

পদে পড়ি কান্দে তোর পাপী মহানন্দ।।

*******


★★★★বিশ্বপিতা ভগবান গুরুচাঁদের বন্দনা★★★★

জয় জয় গুরুচাঁদ করুণা সাগর।

নরাকারে ধরা পরে নিজে মহেশ্বর।।

জয় মাতা সত্যভামা করুনা রূপিনী।

নারী সাজে ধরা মাঝে জগৎ জননী।।

কি লীলা করিলে দোহে নরে অগোচর।

ত্বরিলে পতিতজনে প্রসারি শ্রীকর।

অমৃত মাখানো দৃষ্টি পড়েছে যেখানে।

পাহাড় গলেছে মরু ডুবেছে প্লাবনে।।

রাতুল চরণ রেখা পড়েছে যেথায়।

বিশুদ্ধ মঞ্জুরি সেথা কুসুমিত হয়।।

শঙ্কাহারী নাম তব যেখানে যে কয়।

নাম গুণে রণে বনে সর্বক্ষেত্রে জয়।।

কামজিনী রূপ যেবা নিত্য করে ধ্যান।

অ-কামনা প্রেমভক্তি সেথা অধিষ্ঠান।।

গুরুচাঁদ সত্যভামা বসায়ে যুগলে।

নিত্য যে বা করে পূজা হৃদি পদ্মাসনে।।

জন্ম কর্ম বন্ধ তার সব নষ্ট হয়।

কর্ম বন্ধ হয়ে পুনঃ আসে না ধরায়।।

জয়তুঃ জয়তুঃ গুরু পতিত পাবন।

দীন মহানন্দ যাচে শ্রীপদ স্মরণ।।

*******


★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি প্রণাম মন্ত্র★★★★

শ্রীশ্রী হরিচন্দ্রায় নমো নমঃ।

শ্রীশ্রী হরিচন্দ্রায় সর্বভূতায় আত্মা রূপায় ভগবতে নমো নমঃ।

ত্বমেক স্বয়ং নিজগুণেন্ বালকায়/বালিকায় কৃপাংকুরু।

নমো শ্রী হরিচন্দ্রায় জগৎ হিতায় সারাৎ সারায় জগদীশ্বরায় নমো নমঃ ।

*******


★★★★শ্রীশ্রী শান্তি মাতার প্রতি প্রণাম মন্ত্র★★★★

ওঁ নমো শ্রীশ্রী হরি প্রিয়া শান্তি দেব্যৈ নমো।

লক্ষ্মী স্বরূপিনী, সর্ব বিঘ্ন বিনাশিনী, শক্তি রূপিনী

রক্ত জবা সৌম্য কান্তি লোচন তনয়া, কমল লোচনা,

সর্বমঙ্গলা, অশান্তি বিনাশিনী, শান্তি স্বরূপিনী,

কৈবল্য দায়িনী, মাতৃরূপিনী, হরি ভক্তি প্রদায়িনী

পরম করুণাময়ী শান্তি দেব্যৈ নমো নমঃ।।

*******


★★★শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতি প্রণাম মন্ত্র★★★

শ্রী হরিশ্চন্দ্রস্য সুতং শান্তি মাতা বৎসলং।

মনুষ্যাকৃতি বিগ্রহং তমুমাকান্তাগ্ৰজং ।।

শশী সূধন্যোপেন্দ্র সুরেন্দ্র দীনাং জনকং।

সত্যভামা প্রাণ বন্ধু শান্ত দাও শান্ত নমঃ।।

নমামি শ্রী গুরুশ্চন্দ্রং কাল ভয়স্যা ভয়ং।

কৈলাশ নাথাদ ভিন্নং দেহ ভেদ মিদানীং।।

দেব দেব মহাদেব ভক্তিমেব দেহি মে।

রক্ষ দেব! তারকানাং দীন হিতকারম্।।

*******


★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদের ভোগ নিবেদন প্রার্থনা★★★★

(মহোৎসবে)

কি দিয়া তোমাকে, তুষিব হরি, দিবানিশি তাই ভাবি।

এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে, যাহা কিছু আছে, তোমারই তো তা সবি।।

যেদিকে তাকাই, দেখিবারে পাই, তোমারই অবদান।

তোমারই সৃষ্টি, তোমাকে করেছে, মহিয়ান গড়িয়ান।।

চন্দ্র, সূর্য, তারা, নিজপথে তারা, ভ্রমিছে অবিরাম।

সুপেয় সলিলে, সুমিষ্ট ফলে, পরিপূর্ণ ধরাধাম।।

তাপিত তপন, করে বিকিরণ, পুণ্য আলোর ধারা।।

তোমারই দয়ায়, এ বিশ্বভুবন, সুখ সম্পদে ভরা।।

সকল বাসনা, পূর্ণ করিয়া, আমাকে করেছ ধন্য।

না চাহিতে মোরে সকলই দিয়েছ আমার সুখের জন্য।।

তোমার দানের সামগ্রী আজি তোমাকে দিতে চাই।

তোমার সম্মুখে যা কিছু আছে তাতে আমার তো কিছু নাই।।

প্রেম ভক্তি হীন, দীন হতে দীন অতিব মূঢ়মতি।

সাধন ভজন কিছুই না জানি, না জানি তব স্তুতি।।

দয়া করে যদি আসলে হরি কাঙ্গালের আঙ্গিনায়।

এ প্রসাদাদি গ্রহণ কর ও গো দীনবন্ধু দয়াময়।।

বিদুরের ঘরে খুদ খেয়েছিলে রাখিতে ভক্তের মান।

তেমনি মতো খাও আজি ওগো পতিতের ভগবান।।

অধম তাড়ন, পতিত পাবন নাম ধরেছ তুমি।

আমার মত অধম তুমি কোথাও পাবে না হে স্বামী।।

অধম বলিয়া দয়া কর দয়াল দীনবন্ধু হরি।

নিদান কালে পাই যেন তোমার শ্রীচরণতরী।।

*******


★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদের ভোগ নিবেদন মন্ত্ৰ★★★★

কি দিব তোমায়, ওহে দয়াময় দিতে নাহি জানি আমি।

তুমি যে অনাদি, তোমার দ্রব্যাদি গ্রহণ কর হে তুমি।।

তীর্থমণি বাসে অন্ন খেলে এসে যখন করিত ধ্যান।

সেই মত খাও, বাসনা পুরাও পতিতের ভগবান।।

অধম বলিয়ে দিও না ফিরিয়ে ওগো দীনবন্ধু হরি।

মনের পিপাসা শ্রীপদ ভরসা দাও হে চরণে তরী।।

*******


★★★★ক্ষমা প্রার্থনা★★★★

(হাত জোড় করে)

হে পরমেশ্বর! তোমার স্থিতি গোপন হতেও গোপনীয়।

তোমার কৃপায় আমার উপাসনা সর্বসিদ্ধিপ্রদ হউক,

পঠনে অক্ষরে অনুচ্চারণ ও মাত্রাহীন উচ্চারণাদি

 সর্ব প্রকার ত্রুটি ক্ষমা করে আমার প্রতি প্রসন্ন হও।

তোমার প্রসাদে দিব্য লোক অন্তরীক্ষ এবং পৃথিবীতে সকলে শান্তি লাভ করুক।

কোথাও যেন শান্তি বিঘ্নিত না হয়।

তোমার প্রসাদে বর্তমান এবং অতীতের সকল পাপ রোগ শোক দূর হউক।

হে ঠাকুর আমি ধর্ম কি জানি অথচ তাহাতে আমার প্রবৃত্তি নাই।

আমি অধর্ম কি তাহাও জানি তবুও তাহা হইতে আমার নিবৃত্তি নাই।

আমার হৃদয়ে অবস্থিত থাকিয়া যেভাবে নিযুক্ত করিবে আমি সেই ভাবে কাজ করিব।।

আমি আহ্বানও জানি না। পূজনও জানি না। পূজার মন্ত্রও জানি না।

তবুও হে পরমেশ্বর তুমি আমাকে ক্ষমা করো।

অজ্ঞানবশতঃই হউক, আর মোহবশতঃই হউক এই পবিত্র কার্য্যরূপ যজ্ঞে যাহা যখনি বা 

প্রত্যুত হইয়াছে সেই হরিনাম স্মরণে উহা সম্পূর্ণ হইয়া থাকে ইহাই বেদের বিধান।

সর্ব যজ্ঞেশ্বর পুণ্ডরীকাক্ষ হরিপ্রীত হউক। তিনি প্রীত হইলে জগতও প্রীত হয়।

জানিয়াই হউক, অথবা না জানিয়াই হউক এই কৃত কর্ম যাহা অসঙ্গ বা

অঙ্গহীন হইয়াছে তাহা সমস্তই শ্রীহরির নাম কীৰ্ত্তন ফলে সর্বাঙ্গে যুক্ত হউক।

*******


★★★দ্বাদশ আজ্ঞার দৈনিক প্রার্থনা★★★

(০১)

প্রথম প্রার্থনা

হে সত্যময় হরি তুমি আমাকে সত্য কথা বলিতে শক্তিদান কর। 


(০২)

দ্বিতীয় প্রার্থনা

প্রভু! তুমি আমাকে এমন একটি চক্ষু দান কর,

যাহা দ্বারা আমি জগতের সমস্ত পুরুষ/নারী গণকে পিতৃ/মাতৃ জ্ঞানে দর্শন করিতে পারি।


(০৩)

তৃতীয় প্রার্থনা

হে জগত পিতা! তুমি আমাকে এই শক্তি দান কর,

যাহাতে আমি মাতা পিতাকে ভক্তি করিতে পারি।।


(০৪)

চতুর্থ প্রার্থনা

হে প্রেমময়! তুমি আমাকে এই শক্তিদান কর,

যাহাতে আমি জগতের সকল প্রাণীকে প্রেম করিতে পারি।


(০৫)

পঞ্চম প্রার্থনা

হে জগদ্বীশ্বর! তুমি আমাকে এই শক্তি দান কর,

যাহাতে আমি জাতিবর্ণ নির্বিশেষে চরিত্রবাণ ব্যক্তিকে জাতিভেদ দ্বারা অমান্য না করি।


(০৬)

ষষ্ঠ প্রার্থনা

হে হৃষীকেশ! তুমি আমাকে এই শক্তিদান কর, যাহাতে আমি ষড়রিপুর নিকট

 সাবধান থাকিতে পারি।

কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য্য আমার কোন ক্ষতি সাধন না করিতে পারে।

এ সকলগুলি যেন সদা তোমার অভিমুখী হইয়া চলিতে বাধ্য হয়।


(০৭)

সপ্তম প্রার্থনা

হে সর্বময় তুমি আমাকে এই শক্তিদান কর যাহাতে আমি সর্ব ধর্মের পরিব্রাজক

 রাম, কৃষ্ণ, যীশু, আল্লাহ, গৌরাঙ্গকে সর্ব সমন্বয় জ্ঞান করিতে পারি৷


(০৮)

অষ্টম প্রার্থনা

হে অকপট হৃদয় সরলাত্ম হরি! তুমি আমাকে এই শক্তি দান কর,

যাহাতে আমি বাহ্যিক সাধু ভান ত্যাগ

করিয়া আত্মা দিয়া তোমাকে ডাকিতে পারি।


(০৯)

নবম প্রার্থনা

হে নামরূপী কর্মময় হরি! তুমি আমাকে এই শক্তিদান কর,

যাহাতে আমি কর্মে নির্লিপ্ত থাকিয়া,  মনে মুখে তোমার নাম করিতে পারি৷


(১০)

দশম প্রার্থনা

হে শ্রীহরি আমি যেন “শ্রীশ্রীহরি মন্দির” প্রতিষ্ঠা করিতে পারি এবং তদুপযোগী সেবা কার্যে নিযুক্ত থাকিতে পারি। আমি যেন আমিত্বহীন হয়ে, শ্রীমন্দিরের সেবক হইতে পারি। হে হরি! আমি যেন প্রাতঃ মধ্যাহ্ন এবং সন্ধ্যা, এই ত্রিসন্ধ্যা তোমার মন্দিরের নিকট নাম সংকীর্ত্তন করতঃ মন্দির প্রদক্ষিণ করিয়া তোমাকে সষ্টাঙ্গে দন্ডবৎ করিতে পারি। হে হরি! আমি সপরিবারে যেন তোমার চিরদাস থাকিতে পারি৷


(১১)

একাদশ প্রার্থনা

হে হরি, আত্মান্তর্যামি! তুমি এই দেহের মালিক হয়ে, তোমার প্রার্থনা তুমি কর। তোমার প্রার্থনা তুমি না করিলে আমি কি করিয়া করিব? এই দৈনিক প্রার্থনা তুমিই করিও। এই দৈনিক প্রার্থনা যেন আমার পরিবারস্থ সকলে তোমাকে অর্পণ করে এবং তুমি তাহাদের হৃদয়ে থেকে, এই প্রার্থনা করিও। তোমার দ্বাদশ আজ্ঞা তুমিই প্রতিপালিত করিও। দৈনিক ইন্দ্রিয় প্রাবল্য এবং সুখ-দুঃখ, শোক হেতু যেন তোমার কার্যে ভুল না করি।

*******

(১২) 

দ্বাদশ প্রার্থনা

হে সর্বান্তৰ্য্যামি আত্মময় হরি! তুমি আমাকে এই শক্তি দান কর, যাহাতে আমি তোমাকে আত্মদান করিতে পারি৷ যদি আমার কলুসিত আত্মা তোমাকে দেওয়ার উপযুক্ত না হইয়া থাকে, তবে যাহাতে তোমাকে দেওয়ার উপযুক্ত হয়, তুমি এইরূপ করে গড়ে লও। যেন আমার কর্ম তোমার কর্ম হয়। যেন আমার চাহনি তোমার মত সরল ও অকুটিল হয়। আমার কর্ণ যেন তোমার গুণাবলী আকর্ষণ করে। আমার রসনা যেন তোমার লীলামৃত কথনে অনুব্রত অনুরক্ত থাকে। আমার ত্বক যেন যে কোন স্পর্শমাত্র তোমার স্পর্শ অনুভূতি করে। আমার পদদ্বয় যেন তোমার শ্রীপাদপদ্ম দর্শনার্থে চক্ষুদ্বয়ের সাহায্য করিয়া শ্রীধাম গমন করে। আমার সর্বাঙ্গ যেন তন্ময় হইয়া তোমার প্রেমসাগরে ডুবে থাকে। আমার এই দ্বাদশ প্রার্থনা এবং দেহ, মন, প্রাণ, তোমাকে দিতে যে অযোগ্য দুরাশা করিয়াছি, হে বাঞ্ছা-কল্পতরু, তুমি তাহা গ্রহণ কর এবং পূর্ণ কর।

🙏🙏🙏হরিবল হরিবল হরিবল🙏🙏🙏



★★★পূর্ণাবতার পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রী হরিশ্চন্দ্র স্তোত্রম্★★★

(শ্রীমান মৃত্যুঞ্জয় কর্তৃক প্রণীত)

ওঁ নমঃ শ্রী হরিশচন্দ্রায় নমঃ। সফলা নগরীজাতঃ মৎস্যদেশোদয়ঃ কিম্ভূতানাং জীবানাং রোগশোকোপকারায় কলৌ যশোমত্তাঙ্গজঃ অন্নপূর্ণা দেবী জঠরস্থিতঃ নাম্না শ্রীহরি মূর্ত্তিঃ। আদৌ কলৌ অবতীর্ণঃ আদ্যে ব্রজমোহনং মিশ্রিতশক্তিঃ। গুরুশ্রীরামকান্ত বৈরাগীদীক্ষিতঃ ওড়াকান্দ্যুজ্জ্বলঃ রাগাত্মিকভাবতঃ। পারিষদরামচাঁদ চৌধুরীং প্রথম কৃপালু বিশ্বনাথ মোহান্তং মুদানাম্না অবতীর্ণ। ত্রিজগতি স্বরূপস্য নহি তুল্যম্। দুগ্ধহিঙ্গুলমিশরেশমবর্ণঃ কামমূৰ্ত্তিবিনিন্দিতঃ বপুরক্রোধিতঃ সদানন্দচিত্তো মৃণালজিতকনকদ্বিভূজঃ বিংশতিমুদ্রাংগুলী স্থলপদ্মজিতকরপদ্মঃ উর্দ্ধরেখা বিভূষিতঃ সুগভীরনাভঃ বক্ষঃ চন্দ্রভিটং আস্যম্। কোটি বিধু বরং অধরং প্রবালং দন্ত পাতিদ্বয়ং হীরকোজ্জ্বলম্। ওষ্ঠমলক্তগোলাপমিশ্রিতম্। গরুড়চঞ্চুজিত নস। অক্ষিযুগ্মং রক্তকমলং শ্রুনিঃশৈল গহভরং শশীভানুনিকেতনং ভালং চৌর সখচিতম্। সুভুগুরুবিরাজিতমাকর্ণনেত্রম তব দৃশ্যতে। নবীন বয়সোহতি তরুণ একাম্বর ধারণঃ সুদীর্ঘ কবরী পার্শ্বং কাদম্বিনীজিতং দীনঃভাবঃ নখচন্দ্রে বিংশতি চন্দ্রো যঃ দৃশ্যতে। দিগিন্দ্ৰমদনঃ শতদলশোভিতপাদপদ্মঃ দ্বাত্রিংশ-চিহ্ন-চিহ্নিত মনোহর কলেবরঃ। স্তোত্র পাঠকস্য মনসিজ পুরকো জগতমনোমোহিতঃ ধ্যাত্বৈবং ভক্তিভাবনং যশঃপ্রদায়কং জগদ্বন্ধুবুদ্ধি স্বরূপং প্রিয়গৃহিনী শান্তিপ্রিয়া-ঠাকুরানি বুদ্ধিস্বরূপং ঋক্ষলোচনং পুত্রিনং। দাসানুপাত্রং হীরামোহন-প্রাণমোহন রামরূপধারণং। চক্রীচক্রদাস গোলকভাবিতং কৃতাম্ভঘটতারককান্ডরং কলুষতারকং ত্বাং প্রতি স্তোত্রং পাঠমননু ভক্তিঃ স্যাৎ প্রেমলক্ষণানি ধর্মার্থকামমোক্ষাণি সুদুর্লভানি প্রেমভক্তি সমান্বিতানি ফলানি লভ্যতে। লক্ষ্মীঃ তস্য বাসগৃহে কৃষ্ণবিজালিকাং প্রশুদ্ধতি। এবং (ত্রিং দ্রীং) কমলা স্তোত্রং স্মরণে সৰ্ব্ব ভাব্যং সুফলং শ্রীমান মৃত্যুঞ্জয় দাস বিরচিত; স্তোত্রং সমাপ্তং।

*******


(বাংলা অনুবাদ)

নমো নমঃ হরিচাঁদ নমি বারে বার।

সফলা নগরী বঙ্গদেশে অবতার।।

রোগে শোকে মুক্তি দিতে জীব কুল সর্বে।

যশোমন্ত সুত রূপে অন্নপূর্ণা গর্ভে।।

মিশ্রিতাংগ শক্তিধারী বজ্রাংগনা রমে।

অবতীর্ণ হরি মূর্ত্তি কলির প্রথমে।।

গুরুদেব রামকান্ত বৈরাগী দীক্ষিত।

ওড়াকান্দি ধামে রাগাত্মিকা ভাবযূত।।

পারিষদ রামচাঁদ চৌধুরী প্রথম।

কৃপালু মোহন্ত মুদা বিশ্বনাথ নাম।।

ত্রিজগতে সেরূপে নাহিক তুলন।

দুগ্ধ ও হিংগুল কান্তি রেশম বরণ।।

কাম মূৰ্ত্তি বিনিন্দীত বপু অক্রোধিত ৷

মৃণাল কনক ভুজ সদানন্দ চিত ।।

বিংশতি মুদ্রাংগুলি স্থল পদ্ম কর।

উর্দ্ধরেখা বিভূষিত অতি শোভা কর।।

কোটি চন্দ্র জিনিমুখ নাভি সুগভীর।

প্রশস্ত আয়ত বক্ষ সুধাম শরীর।।

হীরক উজ্জ্বল যেন দত্ত পংক্তিদ্বয়।

প্রবাল অধর ওষ্ঠ অলক্তময়।।

 খগ চঞ্চু যিনি নাসা রক্ত কমলাঁখি।

কর্ণদ্বয় শেল গুহা সমান নিরখী।।

চন্দ্র সূর্য্য তারাবলী নিকেতন ভাল।

আকর্ণ সুদীর্ঘ ভুরু নয়ন বিশাল ৷৷

নবীন বয়স সদা একাম্বর ধারী।

কাদম্বিনী যিনি পার্শ্বে সুদীর্ঘ কবরী।।

দীনভাবে নখে শোভে বিংশতি চন্দ্রিমা।

দিগিন্দ্ৰ মর্দন পদ শতদলোপমা।।

চিহ্নিত বত্রিশ মনোহর কায়।

স্তব পাঠকের সদা মানস পুরায়।।

জগত মনোমোহিত চিত্তে ভক্তি ভাবে।

যশ প্রদ জগদ্বন্ধু বুদ্ধি রূপে পাবে।।

হরি জায়া শান্তি প্রিয়া মাতা ঠাকুরানি।

ঋক্ষ লোচনা তনয়া বুদ্ধি রূপে জানি।।

হীরা মোহন মন মোহন রাম রূপ ধর।

দাস গোলক ভাবিত চক্রী চক্রধর।।

কৃতান্ত ঘট তারক কলুষ তারক।

তব প্রতি স্তব পাঠ নিয়ত কারক ।।

ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ সুদুর্লভ ফল।

প্রেম ভক্তি সমন্বিত লভে অবিকল।।

কৃষ্ণ বীজ মন্ত্রশুদ্ধ গৃহে লক্ষ্মী তার।

কমলা স্মরণে লভে সর্ব ফল ভার।।

মৃত্যুঞ্জয় কৃত স্ত্রোত্র পঠনে সুফল।

পয়ারে সুনীল কহে বল হরিবল।।

*******


★★★★শ্রীশ্রী হরিচাঁদ স্তবাষ্টকম্‌★★★★

(মহর্ষি তারক সরকার রচিত স্তব যাহা ঢাকা শহরে 

মহামায়া স্বপ্নযোগে তাঁকে দিয়েছিলেন)


১) শ্রীহরিশচন্দ্রং গোলকচন্দ্রমুদ্রিত চন্দ্রং নরকুলং।

ভব-তিমিরং বিনাশকারং ভবাব্ধিসারং গতিস্থূলং।।

নাহং জানামি নাহং ভজামি ইহ ব্রজামি মতিভ্রমঃ ।

ত্বমেক স্বয়ং কুরু কৃপা মাং হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ।।


২) অতুলাশ্চর্য্যং রূপং সৌন্দর্যং সহস্রসূর্য্যং পূজ্যবরং।

যং হৃদাসনং তং প্রকাশনং শুক্লমলিন বাসধারং।।

গোলোকদাসং হৃদয়বাসং সুদীর্ঘ কেশং শিরঃশ্যামং।

কাশীকান্ত-স্বীকৃতঋণায় হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ।।


৩) হে লোহিতাক্ষ দেহি জ্ঞানাক্ষং রামধনাক্ষ দান বিভো।

হীরামোহন-মনমোহন রিপুমোহন-রূপপ্রভো।।

দুরীকুরু পুনরপি জগতি জন্মজাত পরিশ্রমং।

শমন ভয়ে দেহি অভয়ং হরিশচন্দ্রায় নমো নমঃ ।।


৪) ক্রীড়াবিয়ন্তঃ শ্রীশান্তিকান্তঃ শ্রীযশোমন্তসুতস্তং।

করুমামুচ্চ কুপথাশ্চ দশরথস্যচ স্নানোদক।।

ওড়াকান্দিতঃ বসতিস্থিতঃ ভক্তাশ্ৰমং তে সমাগমঃ

ভক্তিহীনোহহমতিদীনোহহং হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ।।


৫) বুদ্ধিরূপেন সর্বভূতেষু বিরাজ মানোবৈ মস্তিষ্কে।

বুদ্ধাবতংশী উৎকলবাসী অবতীর্ণোহসি জীবহীতে ।।

ভক্তানুভবো নরাকার এর নরশ্চৈব নরোত্তমঃ।

জগজ্জায়ায় যশোপ্রদায় হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ ।।


৬) অহং দুরাচারোহঘাপচারং শিরবৃবৃতো জন্মাবধিম্।

নহি সুকৃতং কর্মানুকৃতং জন্ম যে গতং নিরর্থকম্।।

চরমেসার নমদুদ্ধার যমভয় হর প্রশম।

মঞ্জুবদায়ং তৎপ্রদাশ্রয় হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ।।


৭) বিষয়মুদ্রা মোহিত নিদ্রিঃ জাগরিতো দ্রাগ নহি নহি।

অহরহ মাং কামো দহতি পরিত্রাহি মাং ত্রাহি ত্রাহি।।

হরমে পাপং হর ত্রিতাপুং হর রিপু মূঢ়তমঃ।

দেহি মে ত্বং তচ্চরণাভয়ং হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ।।


৮) রামরূপজঃ শ্রী নন্দাত্মজঃ ব্রজতি ব্রজং ত্বংহি স্বয়ং।

যচৈতন্য এব ততো হত্রাগতঃ দ্রষ্টব্যোহতঃ স্বরূপোহয়ং।।

চিরচিত্তাস্য দ্বারাঃ কাঃ কস্য কিংবা পুত্রস্য গৃহাশ্রমঃ।

গতাগতি দিনো গতশ্চ হরিশ্চন্দ্রায় নমো নমঃ।।

*******

(বাংলা অনুবাদ)

১) গোলকের চাঁদ হরিচাদ অবতার।

ভব তিমির নাশনে ভব রূপ সার।।

গতিস্থূলে নরকুলে আমার জনম ।

নাহি জানি নাহি ভজি ভ্ৰমি মতিভ্রম।।

তুমি একমাত্র হরি দয়ার আধার।

 কৃপা কর হরিচাঁদ নমি বারে বার।।


২) অতুল আচার্য্য বিভা অমল অনুপ।

সৌন্দর্য্য সহস্র সূর্য্য পূজ্য বর রূপ।।

প্রকাশ হৃদয়াসনে শুক্ল বাস ধারী।

ভক্ত গোলক দাসের হৃদয় বিহারী।।

কাশীকান্ত ঋণ যিনি করিলা স্বীকার।

দীর্ঘ কেশ শির হরি নমি বারে বার।।


৩) হে রক্তাক্ষ দাও জ্ঞান ভক্তি দাও বিভু।

হীরামোহন মন মোহন রিপু হর প্রভু।।

দূর কর পুনরায় জগতে জনম।

জন্ম মৃত্যু গতাগতি রূপ পরিশ্রম।।

অভয় শমন ভয়ে দাও গো আমার।

ভয় ত্রাতা হরিচাঁদ নমি বারে বার।।


৪) ক্রীড়াকান্ত শান্তি কান্ত যশোমন্ত পুত্র।

কুপথ হইতে মুক্ত করহ সর্বত্র।।

দশরথ স্নান শুচি বারুণী সংগম।

ওড়াকান্দি ভক্তাশ্রমে তব সমাগম।।

ভক্তিহীন অতিদীন কি বুঝি তোমার।

দয়া কর হরিচাঁদ নমি বারে বার।।


৫) বুদ্ধি রূপে সর্বভূতে বিরাজ মস্তকে।

বুদ্ধ অবতংস তুমি ত্বরাতে জীবকে।।

উৎকলের জগন্নাথ অবতীর্ণ হরি।

ভক্ত হেতু নরোত্তম নরাকার ধরি।।

জগজ্জন হিতাকাঙক্ষা আশয় তোমার।

যশঃপ্রদ হরিচাঁদ নমি বারে বার।।


৬) আমি দুরাচার পাপাচার জন্মগত।

নিরর্থক কৰ্ম্ম কৃত জন্ম হয় গত।।

সুকৃত কিছুই নাই অসার চরম।

মমদায় যম ভয় হর হে প্রসম।।

তব আশয় যেই রয় পতকী উদ্ধার।

কর ত্রাণ হরিচাঁদ নমি বারে বার।।


৭) বিষয় মোহিত নিদ্রা নাহি জাগরণ।

অহরহ কামে মোরে করিছে দহন।।

আমি মূঢ়তম মোরে কর পরিত্রাণ।

হর পাপ হরতাপ কররিপু ত্রাণ।।

দাও মোরে ভয়হারী চরণ তোমার।

কর ত্রাণ হরিচাঁদ নমি বারে বার।।


৮) তুমি রাম রূপে ছিলে তুমি নন্দাত্মজ।

কৃষ্ণরূপে স্বয়ং তুমি ধন্য কর ব্রজ।।

তুমি সে চৈতন্য ছিলে আগত হেথায়।

স্ব-রূপে দর্শন তাই করিনু তোমায় ।।

চিরচিন্তা দারা পুত্র এ গৃহ তাহার।

দিন গতে হরিচাঁদ নমি বারে বার।।

*******


★★★★মহা মহাপ্রভু শ্রীশ্রী গুরুশ্চন্দ্র স্তোত্রম্★★★★

(মহর্ষি তারক সরকারের রচিত)


১) শ্রীহরিশ্চন্দ্রস্য সুতং শান্তিমাতাবৎসলং।

মনুষ্যাকৃতিবিগ্রহং তমুমাকান্তাগ্ৰজং।।

শশী সুধন্যোপেন্দ্র-সুরেন্দ্রদীনাং জনকং।

সত্যভামা-প্রাণবন্ধুঃ শান্তদাস্ত শান্তনম্।।

২) সংসারি সংসার বৈরিং সংসার সম্ভোষিতং।

সত্য সনাতন-পুতসূক্ষ্ম ধর্ম প্রকটং।।

মাধুৰ্য্যনির্লিপ্ত-শুদ্ধৈশ্বৰ্য্যানাং প্রকাশকং।

দীর্ঘভূজ-করপদ্মমুর্দ্ধরেখাশোভিতম্।।

৩) সুদীর্ঘ কবরীবারি-পুঞ্জশোভা-শীর্ষকং।

সরোজাক্ষঃ সমবক্ষঃস্থলস্থূলোদরাভং।।

গোলাপ-কুসুমবর্ণং পিককণ্ঠ-সুস্বরং।

নাতিস্থূলকৃষকোটিং দয়ালং ধার্মিকং চ।।

৪) শান্তমূৰ্ত্তিং সদাস্ফূত্তিং ধর্মবাচং সুদয়ং।

মানুষ্যাচারচারণমত্তার্য্যামিনং হিতং।।

সুগম্ভীরং গম্ভীরাণং নাসারন্ধ্র-শোভিতং।

নিজতাতানুগ্রহদং সৎপথাবলম্বনম্।।

৫) স্বধর্মরক্ষকং দেবং কৃপালুং হি কৃপাদং।

জগৎ পিতৃ-পুত্রকং বিশ্বপতিং বৈ বিশ্বকং।।

কামাগ্নিতাপহারকং তাপত্রয়নাশকং।

জগতঃ পিতরং বন্দে সর্বাভিষ্ট-সিদ্ধিদম্।।

৬) নমামি গুরুশ্চন্দ্রং কালভয়স্যভয়ং।

কৈলাসনাথাদভিন্নং দেহভেদমিদানীং।।

দেবদেব মহাদেব ভক্তিমেব দেহি মে।

রক্ষদেব! তারকানাং দীনহীনংহিতকারম্।।

গুরো গুরুশ্চন্দ্রস্যেদং স্তোত্রং পঠেদ্ যস্তু।

মুক্তিং সাযুজ্য পরাং সুলভতে গর্ব খর্ব করাম্।।

*******

(বাংলা অনুবাদ)

১) শান্তি মাতা বৎসল হরিচাদাত্মজ।

মানুষাকৃতি বিগ্রহ উমাকান্তাগ্রজ।।

শশী সুধন্য উপেন্দ্র সুরেন্দ্রাদির পিতা।

সত্যভামা প্রাণ-বন্ধু শান্ত শান্তি দাতা।।


২) সংসারী সংসার বৈরী সংসার সংকটে।

সত্য সনাতন সূক্ষ্ম ধর্ম যে প্রকটে।।

মাধুৰ্য্য নির্লিপ্ত শুদ্ধ ঐশ্বৰ্য্য প্রকাশ।

দীর্ঘভূজ কর পদ্ম উর্দ্ধ রেখা ভাস।।


৩) সুদীর্ঘ কবরী বারি পুঞ্জ শোভা শির।

সরোজাক সমবক্ষ স্থল স্কুলোদর।।

গোলাপ কুসুম বর্ণ কণ্ঠস্বর পিক।

নাভিস্থল কৃশ কটি দয়ালু ধার্মিক।।


8) শান্ত মূৰ্ত্তি সদা স্ফূর্তি ধর্মবাচ মিত।

মানুষাচার চারণ অন্তর্যামী হিত।।

সুগভীর নাসারন্ধ্র গম্ভীর শোভিত।না।

স্বপিতারানুগ্রহে সৎ পথাবলম্বিত।।


৫) স্বধর্মরক্ষী কৃপালু দেব কৃপাকারী ।

জগৎ পিতা পুত্র বিশ্ব পতি বিশ্বধারী।।

কামাগ্নিতাপ হারক তাপত্রয় ত্রাতা।

বন্দি আমি জগৎপতি সর্বাভীষ্ট দাতা।।


৬) নমি আমি গুরুচাঁদ কাল ভয়াভয়।

অভিন্ন কৈলাস নাথ ভিন্ন দেহময়।।

দেবদেব মহাদেব ভক্তি দাও মোরে।

রক্ষদেব দীনহীনে তার তারকেরে।।

গুরু গুরুচাঁদ স্তোত্র পাঠ করে যেই।

সাযুজ্য পরম মুক্তি লাভ করে সেই।।

*******

★★★★কলৌ শ্রীশ্রী হরিশ্চন্দ্র যুগল মিলন স্তোত্রম্★★★★

(ভগবত কবি হরিবর সরকার প্রণীত)


১) বন্দেহহং শ্রীগুরুশ্চন্দ্রং ব্রহ্মাণ্ড পাবনং প্রভুং।

হরিযুতং হরিসুতং পুতাত্মনমেকং কায়ম্।।

কষিতকাঞ্চনবর্ণং ভক্তমনোরঞ্জনঞ্চ ।

নিত্য নবরূপধৃতং সেবকজনকাঙ্খিতম্।।


২) সচ্চিদানন্দ ময়স্ত্বং বাঞ্ছাকল্পতরুহরিঃ।

ধনজনমুক্তিমোক্ষ-নির্মলভক্তিদায়কঃ।।

অহৈতুক-প্ৰেমদাতুদৰ্শনে পবিত্রং চিতং।

দুষ্পারভবজলধিং কৃপয়া গোস্পদং কৃতম্।।


৩) নির্ধনায় ধন-প্রদঃ অপুত্রায় পুত্রদাতা।

অমানিনে মানদস্ত্বং গির্বাণো গিরীশঃ শিবঃ।।

গিরি সুতামহাদেবী সত্যভামা প্রাণপতিঃ।

ক্ষীরোদার্ণব-বাসিনী শান্তি প্রিয়া দেবী সুতঃ।।


8) ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্রাদি চাতুর্বর্ণকঃ।

বৌদ্ধ খ্রীষ্ট মহাম্মদ হৈন্দবজনপুঙ্গবঃ।।

স্বীয়ং ধর্মং পরিত্যাজ্য শ্রীপদাম্বুজাশ্রিতশ্চ ।

নমঃশূদ্রকুলোদ্ভবঃ অকুল কুলদায়কঃ।।


৫) শশীসুধন্যোপেন্দ্র সুরেন্দ্রাদি-জগজ্জনকঃ।

সৰ্ব্বজাতিবন্দাঃ প্রভুঃ সর্বোপাস্যঃ সর্বেশ্বরঃ।।

দেবল দেবতা বিপ্রমস্পৃশ্য কর্মানুকৃতং।

তৎ পুনরুদ্ধারার্থায় শূদ্রজাতঃ ভো পাবন।।


৬) যথা রামরূপধরঃ ক্ষত্রিয় পাবনঃ প্রভো।

যথা গোপবংশজাত-কৃষ্ণাজ্জগৎ সংপূজ্যতে ।।

 মহোদ্বারণ প্রভুত্ত্বং মানবরূপ বিগ্রহঃ।

অজানুলম্বিত-ভুজঃ উর্দ্ধরেখাবৃত-করঃ।।


৭) দেহারুণঃ বিংশ-চিহ্ন-চিহ্নিত সুদৃশ্যমানঃ।

ঐশ্বর্য্যাবরণেন হি মাধুৰ্য্যসুসংগোপিতঃ।।

নরাকারো নরাচারঃ সর্বস্যান্তর্যামী প্রভো।

মনসি স্মৃতিমাত্রেণ পাপতাপং বিদুরিতম্।।


৮) অনিদ্র-চৈতন্যরূপং সর্বতীর্থরাজেশ্বরং।

গয়াগঙ্গাব্রহ্মপুত্র-কামনার্নব-পুস্করম্।।

সর্বাতীর্থাশ্রয়দাতা ওড়াকান্দি তীর্থরাজঃ।

কেবলং তবানুগ্রাহাৎ পূর্ববঙ্গ মহাতীর্থঃ।।


৯) গৃহান মমৈতদ্দেহম্ শ্রীহরি পরিচালকম্।

শপথং তব পিতরৌ শপথং তে শ্রীচরণৌ।।

শপথং ভক্তগণঞ্চ শ্রীমহানন্দতারকৌ।

দীন হরিবর দাসঃ ভিক্ষুকঃ শ্রীপদাম্বুজে।।

*******

(বাংলা অনুবাদ)

১) বন্দি আমি গুরুচাঁদ ব্রহ্মাণ্ড পাবন।

হরিত হরিসুত পুত কায়মন।।

কষিত কাঞ্চন বর্ণ ভক্ত মন ধন।

নিত্য নব রূপ কাঙিক্ষত সেবক জন।।


২) সচ্চিদানন্দময় বাঞ্চা কল্পতরু হরি।

ধন জন ভক্তি মুক্তি দাও দয়া করি।। 

ঝ্যঅহৈতুকী প্ৰেমদাতা দর্শনে ত্বরায়।

দুষ্পার ভব সাগর কৃপায় ত্বরায়।।


৩) নির্ধনের ধন দাতা অপুত্রকে পুত্র। 

অমানীকে দান দাতা সদয় সৰ্ব্বত্র।।

গিরি সুতা মহাদেবী সত্যভামা পতি।

সুত রূপে পালে যারে শান্তি প্রিয়া সতী।।


8) ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র বর্ণ চারি।

বৌদ্ধ খ্রীষ্ট মুহম্মদী হিন্দু হিতকারী।।

স্বীয় ধৰ্ম্ম এড়ি যেবা আশ্রয়ে শ্রীপদ।

নমঃশূদ্র কুলোদ্ভব অকুলে কুলদ।।


৫) শশী সুধন্য সুরেন্দ্র উপেন্দ্রাদির পিত।

এবার বন্দিও সর্ব্ব উপাস্য সহিত।।

অস্পৃশ্য দেবল বিপ্র কর্ম অনুকৃতি।

উদ্ধারার্থে অবতীর্ণ পুনঃ শূদ্র জাতি।।


৬) রামরূপ ধারী প্রভু ক্ষত্রিয় পাবক।

গোপবংশ জাত কৃষ্ণ ভুবন তারক।।

মহাউদ্ধারণ প্রভু নরবপুকৃত।

আজানুলম্বিত হস্তে উর্দ্ধরেখা ধৃত।।


৭) দেহারুণ বিংশ চিহ্ন সুদৃশ্য চিহ্নিত।

ঐশ্বর্য্যাবরণে মাধুর্য্য সু সংগোপিত।।

নরাকারে নরাচারে অন্তর্যামী প্রভু।

স্মৃতি মাত্রে পাপ তাপ নাহি রহে কভু।।


৮) অনিদ্র চৈতন্য রূপ সর্ব তীর্থেশ্বর।

গয়া গংগা ব্রহ্মপুত্র কামনা পুস্কর।।

সর্বতীর্থাশ্রয় ওড়াকান্দি শ্রেষ্ঠ তীর্থ।

তব অনুগ্রহে বাংলাদেশের মহাতীর্থ।।


৯) লহ লহ মম দেহ শ্রীহরি স্মরণে।

দোহাই পিতার তব দোহাই চরণে।।

মহানন্দ তারক দোহাই ভক্তগণে।

দীন হরিবরে স্থান দিও শ্রীচরণে।।

*******


★★★★শ্রীশ্রী হরিঠাকুরের পূজাস্তব মন্ত্ৰ★★★★

(গোলক চাঁদের আদেশে শ্রীকান্ত ঠাকুর প্রণীত)

অনন্ত দেব শয্যায় ক্ষীরম্বীশায়ী,

শ্রী হরয়ে চতুর্ভুজয় নমো নমঃ।।

কমলা সেবিত পদাম্ভোজায় নমো নমঃ,

নাভি পদ্মেস্থিত ব্রহ্মযস্য তং নমামি হরিং।।

হরিহর যুক্তাত্মন গুরুচন্দ্র সত্যভামা পতয়ে চ নমো নমঃ।।

ওঁ মহা উদ্ধারণং শ্রীহরি শান্তিনাথেঃ পূর্ণব্রহ্ম সনাতনঃ

যশোমন্ত নন্দনায় পূর্ণ লীলা মানুষ বিগ্রহায় নমো নমঃ।।

শান্তি প্রিয়াধর সুধাপান শালিনঃ,

ঐশ্বৰ্য্য নির্লিপ্ত মাধুৰ্য্য গার্হস্থ্য ধর্ম্ম প্রকাশন হরি নমো নমঃ।।

সফলানগরীং ধন্য যত্র শ্রীহরি অবতীর্ণং,

যস্য দেহে রামকৃষ্ণ শ্রীগৌরাঙ্গ সমারুঢ় তং নমামি হরিম্।।

ধন্য অন্নপূর্ণারত্ন গর্ভাকাশং, শ্রীহরি চন্দ্রমা বিরাজিতং ।

ধন্য মাতা, ধন্য পিতা, ধন্য গোত্র বাৎসবং,

যস্য আদি পুরুষ কান্যকুব্জ দেশে স্থিতং।।

ধন্য ধন্য রাম রাম ব্রহ্মচারী শ্রীহরি অষ্টম পিতামহ,

লক্ষ্মীপাশা নবগঙ্গা নদীতটে যস্য আশ্রম।।

তস্য চিতা সমাধিপরে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা

প্রতিষ্ঠিতং ত্বং নমামি রাম রাম ব্রহ্মচারী।।

সফলানগরে উদ্ভূতং যশোবন্ত অন্নপূর্ণা বৎসল হরি।

সুনির্মল বপু জয়তু জয়তু পূর্ণানন্দ পুরি।।

কস্তুরী কুসুম ভূষণং ভুবন মনমোহনং

রত্নডাঙ্গা বিলস্য কুলে ক্রীড়াং কুরু।।

রাখাল রাজানং হরিং নমো নমঃ।

গোপাল গোবিন্দ গোপাল রক্ষং কুরু।

বিশ্বপতি নয়নানন্দ-দায়ক রূপং চারু।।


কাল ভুজঙ্গ লাঙ্গুল ধর্তা বিঘ্নহারী ভয় ত্রাতা গোপাল কৃষ্ণ মধুর ভাস্যঃ।

সর্বসুখ মোক্ষদাতা প্রেম ভক্তি বৈরাগ্য বিধাতা জগৎ পিতা নমো নমঃ ।

বিশ্বনাথ প্রাণদাতা হরি বিসুচিকা রোগ নাশনং ।

নিদানস্য কর্তা জগদ্বন্ধু হরিচন্দ্রায় নমো নমঃ ।।

শ্রীনক্রু বাহন হরি ব্যাধিহারী বিষহারী মৃত্যুঞ্জয়ে কৃপাংকারী

দেবানুগ্রহ পূর্ণকারী হরি নমো নমঃ ।

ব্রজনাটু বিশ্বনাথ হৃদয় রঞ্জনং

হীরামন মনমোহনং রামরূপ ধারণং হরি।।

গোস্বামী গোলক চতুর্ভূজ রূপং দৃষ্টা মহা ভাবাশ্রিতং।

স্বামী মহানন্দ প্রেমানন্দময়ং তদ্ পদানুসরণং।।

পরম ভাগবৎ রত্নখনি কবি রসরাজ তারক চন্দ্র

 প্রেমিক শিরোমণি শ্রীহরি অঙ্গে উনবিংশ চিহ্ন চ্

দ্বাত্রিংশ ঈশ্বর লক্ষণং দর্শনং।।

ভূতলে পতিতং শ্রীপদ বন্দনং আকুল

ক্রন্দতি আত্মস্বার্থ সমপয়িতুং গোলক বল্লভ হরি ওড়াকান্দিশ্বরণম নমো নমঃ।

ধন্য মৃত্যুঞ্জয়ঃ মহাসাধু ধন্যা তস্য জননী সুভদ্রা নামিনী,

 ধন্যা তস্য স্ত্রী কাশীশ্বরী, ধন্যা তস্য ভগিনী জানকী নাম্নী।


আরোপ লক্ষণে কুসুম হারে সজ্জিতং হরি।।

ধন্য দশরথ ধন্য তস্য স্ত্রী মালাবতী সতী

হরিপদং সেবিতং তস্য স্বামী সঙ্গে স্থিতিং।

শান্তিপুর নিবাসিনং দিগ্বিজয় পণ্ডিতং।।

অদ্বৈতব্ৰাহ্মণং দিগ্বিজয়োপক্রমে উপনীত ওড়াকান্দি হরিভূমে

শ্রীহরি রূপং দর্শনং হরিপদে পতিতং ক্রন্দয়তি চ বন্দয়তি।

হে প্রভু শ্রীশ্রী হরিচন্দ্রং ত্বং হি গৌরচন্দ্র বিষ্ণুপ্রিয়া কান্ত 

শ্রী শচীনন্দনং ক্ষমদোষং দেহি পদং ইচ্ছাময়ং

সর্ব জয়ং শ্রীভারতী পতিং নমো নমঃ।

সাধুহাটি নিবাসীং শ্রীমৎ রসিক সরকার মুনসেফি পদং

ত্যক্তা বিবেক বৈরাগ্য প্রাপ্তং শ্রীহরিপদ স্মরণং।

মহেশ ব্যাপারীং ধন্য যস্য মস্তকে নরহরি শীলা শালগ্রামমস্তি।।

শ্রীরাম ভরত মিশ্র অযোধ্যায়ী ব্রাহ্মণং ওড়াকান্দি আগমনং

 শ্রীক্ষেত্রে জগদ্বন্ধু আদেশে জানাতি শিবনাথ ভবনাথ 

পাণ্ডাদ্বয়ং সহ অদ্য ইদং প্রসাদন্নং শ্রী শ্রীধাম ওড়াকান্দি প্রেরণং কুরু।

অত্র প্রসাদেন রামকৃষ্ণ শ্রীগৌরাঙ্গ গোপাল চ গোবিন্দ প্রীতি ভবতিচ্ছন্দ।

জোনাসুর নীলকুঠি স্থিত ডিক সাহেব তস্য স্ত্রী পরিবার বর্গেন সহ

 শ্রীশ্রী হরিঠাকুর দর্শনং ইহ ত্বং হি হক্ আল্লা যীশুখ্রীষ্ট ভবতি ত্বং নমামি ত্বং নমামি।।

ধন্য লোচন গোস্বামী মহারোগং যস্য দেহে বিরাজিতং

হরিরূপ দর্শনং হস্তাৎ ছত্রদণ্ড ভূতলে পতিতং আকুলং ক্রন্দতি ত্বং হি ব্ৰজেন্দ্র নন্দনো হরিঃ।।

অক্ষয় চক্রবর্তী যজ্ঞোপবীত ছিত্তেন শ্রীহরি ঠাকুরসা দাস ভবতি মতুয়া ওড়াকান্দি সম্প্রদায় ভুক্তং।।

নিবাসীং দ্বিজ শ্রীহরি ভজন হরি কৃপাং লভ্য ব্যাধিমুক্ত বন্দনং কৃত-নমঃ ব্রাহ্মণ্য দেবায় দেব জগদ্ধিতায়'চ 


যস্য নন্দনং শ্রীশ্রী গুরুচন্দ্রং দেব দেব মহাদেব


যস্য ভাৰ্য্যা শ্রীশ্রীসত্যভামা দেবী ঠাকুরানি স্বয়ং ভগবতী জন্ম 

নাসিত মহাশাস্তি স্বরূপিনী প্রণম্ভ হর গৌরি রূপেণ আসীৎ

প্রেম ভক্তি বিধায়ক নমো নমঃ।।

গুরুচাঁদ সত্যভামা প্রসীদ প্রসীদ হরিভক্তি গুরুভক্তি প্রদানায় নমো নমঃ।।

প্রণম্য গুরুচাঁদ সত্যভামা প্রাণ বল্লভ দেহি পদ বল্লভ দেব দেব মহাদেব শ্রীহরি আত্মজং নমো নমঃ ।।

অস্ট্রেলিয়ান সিভিল সার্জন ডাক্তার সি.এস.মিড পাদ্রি সাহেব মনমোহনং মিড সাহেব

সততং ভাষতে যীশুখ্রীষ্ট হি হরি ঠাকুর নমো নমঃ।।

ধন্য ধন্য হরি ঠাকুর ধন্য ধন্য গুরুচাঁদ ঠাকুর ধন্য ধন্য হে সাহেব ইদং

প্রায়শো বদেৎ।

জয়তু শশী সুধন্য উপেন্দ্র সুরেন্দ্র

শ্রীগুরু নন্দন চর্চ্চায় নমো নমঃ ।।

জয়তু মন্মথাগ্রজ রাজর্ষি ব্যারিষ্টার প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর

হরিবংশ তিলকং মহাগুণবন্তং মহাবিদ্যাবত্তং

হরি ঠাকুর ভাবাশ্রিতং নমো নমঃ।।

দেহি পদং হর শোকং পাপং তাপং অনাথ স্মরণং দীনজনং পাহি মাং রক্ষ।।

বন্দে শ্রীশ্রী গোপালচন্দ্র লক্ষ্মীখালীশ্বরম্

শ্রীশ্রী কাঞ্চনদেবী পতিং নমো নমঃ।।

যেষাং হৃদয়ং হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ভকৃতি


যেষাং ভবতি সনাসুখ মুক্তি, চতুর্যুগ ব্যাপি জপ তপঃ

 হোম দান সদৃশ্য ফলং লভেত সত্যং য ইদং স্তোত্রং 

পঠেন্নিত্যং আপদাতস্য নশ্যন্তি পরাজয় ভাবতে কৃতান্তে অন্তে প্রাপ্তিং পরমাগতিং।।

*******


★★★★শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত প্রণাম মন্ত্ৰ★★★★

লীলা কথা রূপে হরি বক্ষেতে তোমার।

নমস্তে নমস্তে ‘গ্রন্থ' পূজ্য দেবতার।।

তব বুকে হরি কৃপা রহে বর্তমান।

কৃপা কনা দিয়ে ধন্য করহে মহান ।।

ধন্যধন্য হরিলীলা গতির বাহন।

তোমারে পঠনে ধন্য হোক বিশ্বজন।।

*******


★★★★ছোটা ও মালার প্রণাম★★★★

(ফুল হাতে নিয়ে হাত জোড় করে)

দণ্ড কমণ্ডুল ভেঙে হল ছোটা মালা।

অবশ্য পাবে না যদি রহে কামজ্বালা।।

কামশূন্য শুদ্ধাভক্তি হরিনাম সার।

তার পক্ষে “ছোটামালা” দিব্য অলংকার।।

জ্ঞান ভক্তি “ছোটামালা” যুগল মিলন।

নমস্তে শ্রীশান্তিহরি শকতি বাহন।।

হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল, শান্তিহরি।।

*******


★★★★★ধরিত্রী মাতার মন্ত্র★★★★★

হে ধরিত্রী মাতা তুমি সকলের পরম আশ্রয়। 

পরম করুণাময়ের কৃপায় পিতা ও মাতাকে আশ্রয় করিয়া ভব কোলে অবতরণ করেছি।

তুমি সর্ব জীবকে ধারণ করেছো তাই তুমি ধরিত্রী মাতা। 

অদ্য তব বক্ষ পরে ওড়াকান্দি বিহারী পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর

 ও জগত জননী শ্রীশ্রী শান্তি মাতা সহ মুক্তিবারীধি শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের

 যে মন্দির নির্মাণকল্পে ব্ৰতী হইয়াছি, এই অধম সন্তানগণের

 সর্ব দোষ ত্রুটি মার্জনা করিয়া, অত্রস্থানে আবির্ভূত হইয়া

 এই কর্মযজ্ঞ কে সফল কর এবং এই মন্দির যেন সুন্দরভাবে সুপরিকল্পিতভাবে

 নির্মিত হয় তব নিকট এই আশীর্বাদ প্রার্থনা করি। 

তোমায় পুষ্পার্ঘ্য সহ ভক্তিপূর্ণ প্রণাম জানাই।

*******


সন্ধ্যা আরতি 

 ★★★★★জয় হরিচাঁদ★★★★★

(সন্ধ্যা আরতি)

জয় যশোমন্তের তনয়, জয় জগদীশ।

জয় জয় জগদীশ হরি জয় জগদীশ।।

সাঁঝে বাতি দেও হে সবে গোরস তৈলে।

আরতি করে হরিচাঁদের ভক্তে মিলে।।

অনলে সুগন্ধি ধুপে ধূপতি জ্বালিয়ে।

চরণে তুলসী দাও চন্দনে মাখিয়ে।।

অমল কমল ফুলে সাজায়ে ডালা।

কমলা সেবিত পদে সেবেন ত কমলা।।

ব্যঞ্জন মরুর পুচ্ছ আর তালপত্র।

সুরমা রমণীগণে সেবেন শ্রীগাত্র।।

শঙ্খ বাজে ঘণ্টা বাজে বাজে করতাল।

মধুর মৃদঙ্গ বাজে শুনিতে রসাল।।

দিবাকর শশধর দিবাকর সূত।

শঙ্কর-শঙ্করী নাচে দেখিতে অদ্ভুত।।

মৃত্যুঞ্জয় দশরথ নাচে নাচে হীরামন।

প্রেম ভরে মাতোয়ারা হয়ে মহানন্দ।।

ভনে তারক চন্দ্র দাসে প্রভুর আরতি কাহিনী।

আরতি ইতি ভক্তগণ কর হরিধ্বনি।।

ভজ হরি কও হরি লও হরি নাম।

হা রে হা রে হা রে হরিশ্চন্দ্র গুণধাম।।

(ডাক) প্রভু সবেরে করিলে দয়া আমায় কেন বাম

হা রে হা রে হা রে হরিশ্চন্দ্র গুণধাম।

হা রে হা রে হা রে গোলকচন্দ্র গুণধাম।

হা রে (৩) মৃত্যুঞ্জয় গুণধাম।

হা রে (৩) দশরথ গুণধাম।

হা রে (৩) হীরামন গুণধাম।

হা রে (৩) মহানন্দ গুণধাম।

হা রে (৩) হরিভক্ত গুণধাম।

*******


★★★★আসর বন্দনা ★★★★

৫ নং সংগীত, তাল- একতালা

জয় হরি শ্রীহরিচাঁদের জয়।

জয় যশোবন্ত, রামকান্ত, অন্নপূর্ণা মাতার জয়।।

১) জয় শ্রীকৃষ্ণদাস, জয় শ্রীবৈষ্ণবদাস, গৌরীদাসের জয়।

জয় স্বরূপচন্দ্র, বিশ্বনাথ, ব্রজ, নাটুর জয় জয়।।

২) জয় শ্রীগুরুচাঁদ, হৃদয় আকাশে চাঁদ, হও এসে উদয়।

দিয়া পদারবিন্দ কৃপাসিন্ধু, কৃপা কর কৃপাময়।।

৩) জয় শ্রীগোলোকচাঁদ, জয় শ্রীবদনচাঁদ, রাম ভরতের জয়।

জয় লোচনচন্দ্র, শ্রীগোবিন্দ, হীরামনের জয় জয়।।

৪) জয় শ্রীদশরথ, হরিচাঁদের ভকত, মৃত্যুঞ্জয়ের জয়।

জয় শ্রীতারকচন্দ্র, মহানন্দ, রামচরণ ক্ষ্যাপার জয় জয়।।

৫) শ্রীহরির ভক্তগণ, বন্দী সবার চরণ, আনন্দ হৃদয়।

এবার দয়াকরি, দয়াল হরি, রেখ মোরে রাঙ্গা পায়।।

*******


★★★★আসর★★★★

তাল- কাহারবা, রাগিনী জয় জিয়া লই

হরি এস আসরে, বসিবার আসন রেখেছি হৃদয় মন্দিরে।

হরি হৃদ আসনের মালিক তুমি, এস যুগল রূপ ধরে।।

১। সাদা আসন মন ফুলে, সাজায়ে রেখেছি, তুমি আসরে আসিলে আনন্দে নাচি।

আসরে হয়ে উদয়, আনন্দময়, আনন্দে রাখ মোরে।।

২। ভক্তের বাঞ্ছা পূর্ণকর, যশবন্তের নন্দন, শান্তি মায়ে সঙ্গে লয়ে, কর আগমন।

তুমি ক্ষীরোদের ধন মধুসূদন শ্রীচরণ, দেও আমারে।।

৩। পতিত পাবন নামটি তুমি করেছ ধারণ, হৃদয় আসরেতে হরি কর পদার্পন।

তুমি আসরে আসিবে বলে বসেছি আশা করে।।

৪। (অধম) দীনবন্ধুর মন বাঞ্ছা, রয়েছে ভারি, ফুল চন্দন তুলসী পদে, দিব বিরাগ ভরি।

হরি গোঁসাইর দয়ায়, বাঞ্ছা হৃদয়, অঞ্জলি দিব তোমারে।।

*******


★★★★চৌত্রিশ পদবলী★★★★

হরি ভজলেম না তোমায় আমি, জন্মিয়া ধরায়।

ক = করুণ ক্রন্দনে হরি ডেকেছি তোমারে।

খ = খালাস করহ, বড় জ্বালা মা উদরে।।

গ = গর্ভেতে পঞ্চম মাসে থেকে অগ্নিকুন্ডে।

ঘ = ঘোরতর এভাবে ডাকিনু হেট মুন্ডে।।

ঙ = উদ্ধার করিতে জ্বালা, এলে দয়াময়।

চ = চিরদিন ডাকিব, বলেছি সে সময়।।

ছ = ছদ্মবেশে একবার নিলে সপ্ত মাসে।

জ = জন্মিয়া ওয়ানা বলি ভুলে রঙ্গরসে।।

ঝ = ঝলমল পূর্ণ শশী দয়ার সাগর।

ঞ = একান্বর রূপরাশী ভুলেছি এবার।।

ট = টলমল রঙ্গরসে দেখি এ ব্রহ্মান্ড।

ঠ = ঠেকে মহামায়ার হাতে সত্য করি পন্ড।।

ড = ডুবিয়া রয়েছি আমি ভবকূপ নীরে।

ঢ = ঢলিয়া পরেছি ভব সংসার সাগরে।।

ণ = নবরঙ্গ মঞ্চ মাঝে ভাসিয়ে বেড়াই।

ত = তরাইতে তরী নিয়ে এস হে গোঁসাই ।।

থ = স্থাবর জঙ্গমে তুমি সর্ব্বময় হরি।

দ = দয়া যদি হয় দয়া, কর দয়া করি।।

ধ = ধরাধামে সবেরে করহ্ তুমি দয়া।

ন = নহে দয়ার যোগ্য আমি নাহি সাজে দয়া।।

প = পবিত্র চরিত্র যেন, জন্মাবধি রাখি।

ফ = ফিরে না এ আঁখি যেন তব রূপে রাখি।।

ব = বশীভূত থাকি যেন তব রূপ সনে।

ভ = ভজন সাধন যাতে করি প্রাণপনে।।

ম = মনবাঞ্ছা পূর্ণ কর শ্রীমধুসুদন।

য = যনমে তোমার নাম না ভুলি কখন।।

র = রয়-তে রজনী গতে রবি হৃদাকাশে।

ল = লয়-তে রাধিকা শক্তি বসিয়াছে কাছে।।

ব = বয়-তে বসন্তকালে বসুমতি হাসি।

শ = শয়-তে শরৎকাল দাড়াইল আসি।।

ষ = ষয়-তে সুমতি হয় যাহার সহায়।

স = সয়-তে সরল হয় তাহার হৃদয়।।

হ = হয়-তে হরিনাম সে করে দিবারাতি।

ক্ষ = ক্ষীরোদে বিহারী এসে হয় তার সাথী।।

দীনাবলে পদতলে রাখো হরি মোরে।

পূনঃ পাঠাইও না হরি মায়ার সংসারে।।

তব পদ পাশে যেন থাকি দিবা রাতি।

দাস করি রাখ পদে হেরিব মূরতী।।

চৌত্রিশ পদাবলি সমাপন হ'ইল।

প্রেমে ভাসি জগৎবাসি হরি হরি বল।।

*******


PDF by Dilip Majumdar

Mobile :- +91 9831650644 / +91 6291062845

🙏🙏🙏🙏🙏

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.