শ্রীশ্রী হরি সঙ্গীত
এবার শুনলেম মতুয়া পাড়া, গিয়ে দেখলাম মতুয়া পাড়া।
যত মতুয়া মাতাল হ'য়ে বেহাল, কাজ করে বেদ-বিধি ছাড়া।।
১) মতুয়া পাড়া উঠছে সাড়া, শুনলেম তাঁদের আইন কড়া।
কারুর কুলের গৌরব থাকলে পরে, এ দলে এসে কেহ হসনে খাঁড়া।।
২) আদি মতুয়া ওড়াকান্দি, নদীয়ায় ছিলেন শচির গোরা।
ওসে মায়ের কড়ার শুধব বলে, এসেছে ওড়াকান্দি নিমাই নাড়া।।
৩) কাজের মতুয়া নারিকেলবাড়ী, অনুরাগে তনু পোরা।
ও যাঁর হুহুঙ্কারে গোলক নড়ে, তাঁর কাছে বাউল গৌড়ে পল ধরা।।
৪) আর এক মতুয়া নারিকেলবাড়ী, প্রেমমানন্দে মাতয়ারা।
তারে দেখলে ভোলে পুরুষ-নারী, নবদ্বীপ ছিলেন তিনি নিতাই নাড়া।।
৫) আর এক মতুয়া রাউৎখামার বীর-করুণ রসে হয় ভরা।
ওসে মরিলে বাঁচাইতে পারে, পাথারে ভ্রমন করে নৌকাছাড়া।।
৬) আর এক মতুয়া জয়পুরে রয়, নবরসে তনু ভরা।
ও যাঁর নাম নিলে হয় শমন-দমন, নামটি তার তারকব্রহ্ম রসের চূড়া।।
৭) মতুয়া নামের কি মাহাত্ম্য, ইহা নি কেউ জানিস তোরা।
তারা কতক গোপী, কতক কপি, এ যুগে একমতে হয়েছে জোড়া।।
৮) অশ্বিনী কয় দিন বয়ে যায়, ধরলাম না সেই মতুয়ার ধারা।
স্বামী মহানন্দের দয়া বিনে, হয়েছি গুরুচাঁদের চরন ছাড়া।।
*****