Type Here to Get Search Results !

Matua Sangeet

Matua Sangeet

শ্রীশ্রী মহাসংকীর্তন-58

 ৫৮ নং গানঃ তাল-ঢিমেতেওট

(শ্রীগৌরাঙ্গের প্রলাপ)



নব ভাবে আজ কে মাতাল গৌরাঙ্গে।

 

) দেখে নবীন মেঘ, ছুটিল কৃষ্ণ প্রেমের বেগ,

মনচোরা বলে ভাসে নয়ন তরঙ্গে।

 

) বলে নিত্যানন্দে, ধরে দে মোর কৃষ্ণচন্দ্রে,

মনের আনন্দে রাখব তারে সঙ্গে সঙ্গে।

 

তাল-রাণেটী

 

) ওরে সখীরে!

যে নীলাম্বর পরে, ধরে দে মোর পীতাম্বর রে

না দেখে শ্যাম জলধরে, নয়নে না জল ধরে রে

(আমায় ধরে দে ধরে দে দেরে সই)

 

) ওরে সখীরে!

আমি বহু দিন তার অদর্শনে, জ্বলি বিচ্ছেদ হুতাশনে রে,

আমি যাই শ্যামের অন্বেষণে, পড়েছিলাম ধরাসনে রে,

দেখে চিত্ত কি ধৈর্য ধরে।

 

) ওরে সখীরে!

আমি নয়ন দিয়ে কালরূপে, পড়েছি কলঙ্ক কূপে রে,

এখন সবে তুচ্ছ কথায় তুলে, দ্বন্দ্ব ছলে মন্দ বলে রে,

যাই না কার কাছে লজ্জা ডরে।।

 

) ওরে সখীরে!

ঐ যে বিজলী বসন পরা, দাঁড়িয়েছে মনচোরা রে,

ধরা দিবে না ভেবেছেন মনে, গিয়েছেন দূর গগনে রে,

তবে কাজ কি আমার কলেবরে।

 

) ওরে সখীরে!

ঐ যে লইয়া ময়ূরের পাখা, উড়ে যায় ত্রিভঙ্গ বাঁকা,

সখী! কালা জল খেলার ছলে, বসন ভিজাল জলে রে,

কেন অসময় চাতুরী করে।

 

) ওরে সখীরে!

আমি পূর্বেতে নিত্য তুচ্ছ মনে, কাঁদিয়েছি ভগবানে রে,

বুঝি সেই অপরাধে, রাধে ত্যজিল হরি পরিবাদে রে,

আমি যাব এখন কোথাকারে।।

(মনের দুঃখ আর বলব কারে)

 

মিলতাল-একতালা

 

যেমন মলিনা মুখী চাতকিনী পাখী, জলদ বান্ধব বিনে।

যেন না হেরী চন্দ্রিমা বদনে, কালিমা চকোরিনী দিশিদিনে।

 

) সখী আছে তেম্নি ধারা, বিনে মনচোরা,

সদা ঝরে দুটি আঁখি।

দিলে যে জ্বালা কেশব, সহেছি সে সব,

আর কি আছে বাকী।

 

) সখী! যে বাঁশির স্বরে, মনোপ্রাণ হরে,

ভুলাত কুল কামিনী।

ঐ শুনলো সঙ্গিনী, সে বাঁশির ধ্বনি,

ঠিক যেন ব্রজের ধ্বনি।

 

) সখী! দেখ দেখ চেয়ে, দাঁড়িয়ে কালীয়ে,

মাথায় মোহন চূড়া।

যেন মৃদু সমীরণে, সুধীর গমনে,

নব ঘনে করে কড়া।।

) গলের বনফুল মালা, খসাইয়া কালা,

মেরেছে আমার গায়।

যেন করে নবঘন, শিলা বরিষণ,

তেম্নি লেগেছে আমায়।

 

তাল-ঝুমুরী (চলতি)

সখী! ধর ধর ধরগো আমায়।

আমার কেহ নাই কেহ নাই।

 

কালা এত নিদয় হল কেন

হল কালার জ্বালায় শরীর কালা।

আমি না দেখিয়ে ছিলাম ভাল

সখী! দেখে জীবন জ্বলে গেল

আমার আর সহে না সহে না

কালার বিরহ যাতনা।

ঐ যে কালা চলে গেল

আমার জীবন লইয়া গেল।

আমি জ্বলিয়ে মলেম যে

আমি পুড়িয়ে মলেম যে

পরাণ বিরহে কি রহে

তোরা বল গো হরে কৃষ্ণ হরে

শুনি কৃষ্ণ নাম কর্ণকুহরে।

মিল তাল-তাল রাণেট

ওহে হরি হে

যেমন আপনার নামটি আপনি লয়ে কেঁদে বেড়াও আকুল হয়ে হে

তেম্নি রাধা প্রেম দিয়া মোরে, কাঁদাও দেশ দেশান্তরে হে।

দেহ হরি প্রেম হরিবরে, পথের ভিক্ষারী করে হে।

*****

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.