৫৭ নং গানঃ তাল-ঢিমেতেওট
তুই বল কানাই, কেন হলি ভাই সন্ন্যাসী।
লুকায়ে কাল অঙ্গ, হলি গৌরাঙ্গ,
করে করঙ্গ একি রঙ্গ কালশশী।
অঙ্গে হলুদ মেখে, ত্রিভঙ্গ রূপ ঢেকে,
মেগে খাস ভিক্ষা ঝাঁপিয়ে কালরূপ রাশি।
তাল-যৎ
সে ধনীর কি দয়া নাই, মায়া নাই,
তোরে পথের কাঙ্গাল কে করেছে হারে ভাই।
কেন দীনহীন কাঙ্গালের মত, রা রা বলে ছাড়তেছিস হাই।
হা হুতাশ বাতুলের মত, কেঁদে বেড়াস অবিরত,
ভাইরে আত্ম বন্ধু কি কেউ সংসারে তোর নাইরে।
তোরে যে করেছে দীনেরও দীন, আছিস তাহার কি ধনে ঋণ,
ওরে কানাই।
কেঁদে বেড়াস নিশিদিনে, এই কি সহে আমার প্রাণে,
ভাইরে, তোরে এমন দশা, কেন করল সাই রে।
হয়ে কি ধন হারা, কাঁদিস গোরা,
কেন করিস হা-রাই হা-রাই।
যদি রাখি হৃদ সরোজে, তথাপি তোর পদে বাজে,
ভাইরে, তাতে কুশাঙ্কুর ফুটিছে সদাই রে।
ও চরণ দেখে নয়নে, দয়া কি হল না মনে,
তার মনে ছাই।
তাল-ঠুংরী
ও তুই চল চল চল আমার বাসে, সে ওরে পীতবাস।
ও তুই আয়রে কানাই সত্বরে যাই, ছেড়ে দে ভাই চির সন্ন্যাস।
দিয়ে রাঙ্গা পদে কুমকুম চন্দন, করব সদা চামর ব্যঞ্জন,
ভাইরে, কানাই আয়রে আমার মনাগুন নিভাই রে,
লিখল তোর ভাগ্যে, দেশান্তর বিধি, কোথায় রে, সেই বিধাতার বাস।
চরণ অলক্তা দিয়ে, দেখব রে নয়ন ভরিয়ে,
ভাইরে, দিয়ে রাধাপদ্ম, পাদপদ্ম সাজাইরে,
দিব ভুরুতে কাজলের রেখা, চূড়ায় পাখা এই অভিলাষ।
পূজিব সাধ্য উপাচরে, বেদ ত্যক্তা ব্রজাচারে,
ভাইরে, আমি মুঢ়মতি উচ্ছিষ্ট জ্ঞান নাইরে।
আয় যাই ত্যজ্য করে ডোর কপ্নি বাস, কেন করিস তুচ্ছ উপবাস।
যদি একাদশীর দিনে, মিষ্ট ফল পাই কোন খানে,
ভাইরে, আমি কারে দিব কানাইরে,
তুই না খেলে ফল সকল নিস্ফল, করিব বিফল জীবন নাশ।
হয়ে সংসার বিদ্বেষী, হইও না বিদেশী,
তোমার ভাব দেখে, হরিবরের মন উদাসী।
*****