৫নং গানঃ তাল-যৎ
আর কিছু লাগে না ভাল,
আমার গৌর নিতাই ন’দে এল।
হরিনাম তরণী নৌকাখানি, পারঘাটে নিতাই সাজাল।।
১) হরিনাম তরণী ধর এটে, বাওরে অনুরাগের বৈঠে, থাকতে দিন,
যে জন দীন দরিদ্র অর্থহীন দীনেরও দীন।
কারু লাগবে না আর পারের কড়ি, ভব সমুদ্র দিতে পাড়ি,
ব্রহ্ম হরিদাস দাঁড়ি, পারের বড় সুযোগ হল।।
২) সত্য ত্রেতা দ্বাপরেতে, দাখিলকার ছিল ঘাটেতে, রবিসূত,
তারে বেদখলী করেছে নিতাই অবধূত।
এবার হাল আইন নোটিশের জোরে, সে ঘাট নিয়াছে খাস করে,
পার করে দেয় যারে তারে, চল ভব পারে চল।।
৩) দয়াল নিতাই ডাকে বাহু তুলে, আয়না তোরা সবেই মিলে, কে যাবি পারে,
তোদের পাপের বোঝা দে আমাকে নিলাম ভার।
পারের কড়ি কেবল প্রেমভক্তি, যার যেমন আছে শক্তি,
নিতাই দিচ্ছে নিজ শক্তি, সাক্ষী জগাই মাধাই র’ল।।
৪) গোঁসাই মৃত্যুঞ্জয় কয় ওরে তারক, গুরুচাঁদ জ্ঞানাঞ্জন শলাকা এবারে,
হল অষ্টবিংশ মন্বন্তরের পরে।
কেন ডুবলিরে সংসার সাগরে, এমন নাবিক পাবি নারে,
গোলক চাঁদের হুহুঙ্কারে, হরিচাঁদ পার করতে এল।।
*****