৩০নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
কান্দলে কি গৌর পাবি, তাইতে ভাবি, কে না কান্দে গৌর বলে,
লক্ষ্মীরে করিলে বিয়ে, তায় কান্দায়ে, এককালে প্রাণে বধিলে।।
নিষ্ঠুরের শিরোমণি, গৌরমণি, রমণী কান্দায়ে এলে।
ব্রজে ওর মা যশোদে, ম’ল দেখে, নন্দ কেন্দে অন্ধ হ’লে।।
মন প্রাণ স’পে দিয়ে, গোপের মেয়ে, কত না কান্দায়ে ছিলে,
নিষ্ঠুর যায় ফাঁকি দিয়ে, নিদয় হয়ে, আজ যাব কাল আসব বলে।।
ষোল ‘শ আট রমণী, করলে ধনী, দ্বারকায় ঐশ্বর্য লীলে।
তাদের ত্যজ্য করে, দৈত্যে হরে, জ্বালায় জ্বলে পাথর হ’লে।।
তোমরা দুঃখ জান কিরে, জানকীরে কত না কান্দায়ে ছিলে।
দুঃখ না সইতে পেরে, মাটি ফেড়ে, মাটির সঙ্গে মাটি হ’লে।।
কান্দে ওর বিষ্ণুপ্রিয়ে, অনাথ হয়ে, তার দিক কই ফিরে চে’লে।
কান্দে ওর শচীমাতা, তোরা কি তা, কান্দলে পাবি কোন কালে।।
সেই মানুষ কোথায় আছে, ভক্তের কাছে, মিশে গেছে ষড় দলে।
গোলকচাঁদ সেই কমলে, সাঁতার খেলে, তারক কান্দে ভবের কুলে।।
*****